আলফিয়্যাতুল হাদীস

পরিপূর্ণভাবে অজু করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪১ -
৯. উভয় পা পুরোপুরি ধোয়ার আবশ্যিকতা
৪৬৩। যুহাইর ইবনে হারব এবং ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আমরা মক্কা থেকে মদীনার দিকে ফিরছিলাম। রাস্তায় এক যায়গায় পানি ছিল। তখন কিছু লোক জলদী আসরের সময়ে এগিয়ে গেল এবং তাড়াহুড়া করে উযু করল। অতঃপর আমরা যখন তাদের নিকট গিয়ে পৌছিলাম, দেখলাম তাদের পায়ের গোড়ালি এমনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে যে, তাতে পানি পৌছেনি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঐ গোড়ালিগুলোর জন্য দুর্ভোগ জাহান্নামের। অতএব পূর্ণভাবে উযু সম্পাদন কর।
باب وُجُوبِ غَسْلِ الرِّجْلَيْنِ بِكَمَالِهِمَا
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ رَجَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِمَاءٍ بِالطَّرِيقِ تَعَجَّلَ قَوْمٌ عِنْدَ الْعَصْرِ فَتَوَضَّئُوا وَهُمْ عِجَالٌ فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِمْ وَأَعْقَابُهُمْ تَلُوحُ لَمْ يَمَسَّهَا الْمَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ أَسْبِغُوا الْوُضُوءَ " .

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:১৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২
৫৫. নাক পরিস্কার করা সম্পর্কে।
১৪২. কুতায়বা ইবনে সাঈদ .... আসিম ইবনে লাকীত ইবনে সাবুরা থেকে তাঁর পিতা লাকীত ইবনে সাবুরার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনু মুনতাফিকের (গোত্রের) একক প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটে গমন করি তিনি বলেন, যখন আমরা তাঁর নিকটে উপনীত হলাম- তখন তাকে স্বগৃহে (উপস্থিত) পেলাম না এবং উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ)-কে উপস্থিত পেলাম। তখন তিনি আমাদের জন্য ‘খাযীরাহ্’ (এক ধরনের উপাদেয় খাদ্য) তৈরীর নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তা আমাদের জন্য প্রস্তুত করা হলে খাদ্যের পাত্রে তা আমাদের সম্মুখে পেশ করা হল। হাদীসের অন্য রাবী কুতায়বা (القناع) শব্দটি ষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। (القناع) হল এমন একটি পাত্র যার মধ্যে খেজুর রাখা হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘরে ফিরে এসে আমাদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কি কিছু খেয়েছ? অথবা তোমাদের (খাওয়ার জন্য) কোন কিছুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ এমতাস্থায় যখন আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে মজলিসে ছিলাম- তখন এক মেষ-পালক তাঁর বকরীর পাল নিয়ে চারণ ভূমিতে যাচ্ছিল এবং বকরীর সাথে চিৎকার রত একটি বাচ্চাও ছিল। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ কি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে? সে বলল, ছাগল অথবা ভেড়ার একটি মাদি বাচ্চা। তখন তিনি বলেনঃ এর পরিবর্তে তুমি আমাদের জন্য একটি বকরী যবেহ্ কর। অতঃপর নবী (ﷺ) প্রতিনিধি দলের নেতাকে সম্বোধন করে বলেনঃ তোমরা মনে কর না যে, তা কেবলমাত্র তোমাদের উদ্দেশ্যে যবেহ্ করা হয়েছে। বরং অবস্থা এই যে, আমাদের একশত বকরী আছে, আমি এর অতিরিক্ত সংখ্যা বাড়াতে চাই না। কাজেই যখন একটি নতুন শাবক জন্ম নিয়েছে, তার পরিবর্তে একটি ছাগল যবেহ্ করেছি। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একজন স্ত্রী আছে- যে কথাবার্তা বলার সময় গালিগালাজ করে। এতদশ্রবনে তিনি বলেনঃ তাকে তালাক দাও। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক এবং তার গর্ভজাত আমার একটি সন্তানও আছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি তাকে উপদেশ দাও। যদি সে তোমার উপদেশে ভাল হয়ে যায়- তবেই উত্তম। জেনে রেখ, তুমি তোমার স্ত্রীকে দাসীর মত মারপিট কর না। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! উযু সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ পরিপূর্ণভাবে উযু করবে এবং অঙ্গুলিসমূহ খেলাল করবে এবং নাকের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে পানি পৌছাবে। অবশ্য রোযাদার হলে এরূপ করবে না।* * উযুর সময় গড়গড়া করা ও নাকের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা সুন্নত এবং নাপাকীর গোসলের সময় তা ফরয। কিন্তু রোযা থাকাবস্থায় গড়গড়া করা এবং নাকের মধ্যে এমনভাবে পানি প্রবেশ করান নিষেধ- যাতে রোযার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। -(অনুবাদক)
باب فِي الاِسْتِنْثَارِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - أَوْ فِي وَفْدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نُصَادِفْهُ فِي مَنْزِلِهِ وَصَادَفْنَا عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ فَأَمَرَتْ لَنَا بِخَزِيرَةٍ فَصُنِعَتْ لَنَا قَالَ وَأُتِينَا بِقِنَاعٍ - وَلَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ الْقِنَاعَ وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ تَمْرٌ - ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا أَوْ أُمِرَ لَكُمْ بِشَىْءٍ " . قَالَ قُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ فَبَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ إِذْ دَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ " مَا وَلَّدْتَ يَا فُلاَنُ " . قَالَ بَهْمَةً . قَالَ فَاذْبَحْ لَنَا مَكَانَهَا شَاةً . ثُمَّ قَالَ لاَ تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لاَ تَحْسَبَنَّ - أَنَّا مِنْ أَجْلِكَ ذَبَحْنَاهَا لَنَا غَنَمٌ مِائَةٌ لاَ نُرِيدُ أَنْ تَزِيدَ فَإِذَا وَلَّدَ الرَّاعِي بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً وَإِنَّ فِي لِسَانِهَا شَيْئًا يَعْنِي الْبَذَاءَ . قَالَ " فَطَلِّقْهَا إِذًا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَهَا صُحْبَةً وَلِي مِنْهَا وَلَدٌ . قَالَ " فَمُرْهَا - يَقُولُ عِظْهَا - فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَفْعَلُ وَلاَ تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ كَضَرْبِكَ أُمَيَّتَكَ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ . قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১ -
১৪. কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে উযু করার ফযীলত
৪৮০। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ), কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন (কাজের) কথা বলব না, যদ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপরাশি দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা উচু করে দিবেন? সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, তা হল, অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে উযু করা, মসজিদে আসার জন্য বেশী পদচারণা এবং এক নামাযের পর অন্য নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। জেনে রাখ, এটাই হল রিবাত (তথা নিজেকেআটকে রাখা ও শয়তানের মুকাবিলায় নিজেকেপ্রস্তুত রাখা)।
باب فَضْلِ إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، - قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ " .

সুনানে নাসায়ী

হাদীস নং:৯৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯৪৭
ফজরের নামাযে সূরা রুম পাঠ করা।
৯৫০। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর জনৈক সাহাবী সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ফজরের নামায আদায় করলেন এবং তাতে সূরা রুম পড়লেন। এতে তাঁর কিরাআত এলোমেলো হয়ে গেল। যখন তিনি নামায শেষ করলেন তখন বললেন, ঐ সকল লোকের কি হল, তারা আমাদের সাথে নামায আদায় করে অথচ উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে না। তারাই আমাদের কিরাআত এলোমেলো করে ফেলে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ شَبِيبٍ أَبِي رَوْحٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ فَقَرَأَ الرُّومَ فَالْتَبَسَ عَلَيْهِ فَلَمَّا صَلَّى قَالَ " مَا بَالُ أَقْوَامٍ يُصَلُّونَ مَعَنَا لاَ يُحْسِنُونَ الطُّهُورَ فَإِنَّمَا يَلْبِسُ عَلَيْنَا الْقُرْآنَ أُولَئِكَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: