আলফিয়্যাতুল হাদীস

নফল রোজাদার ইচ্ছে হলে রোজা রাখতে পারে আর ইচ্ছে হলে রোজা ভাঙ্গতেও পারে -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:২৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৬
২৬৩. রোযার জন্য নিয়ত না করার অনুমতি।
২৪৪৮. উসমান ইবনে আবি শাঈবা .... উম্মে হানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (রাবী) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন বিজয়ের পর ফাতিমা (রাযিঃ) আগমন করেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বামদিকে উপবেশন করেন এবং উম্মে হানী (রাযিঃ) ডানদিকে। তিনি (রাবী) বলেন, এ সময় জনৈক দাসী একটি পাত্রে কিছু পানীয় দ্রব্য এনে পেশ করলে তিনি তা পান করেন। এরপর তিনি এর অবশিষ্টাংশ উম্মে হানীকে পান করতে দেন। তিনি তা পান করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তো ইফতার করলাম, কিন্তু আমি যে রোযা ছিলাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি কোন কাযা রোযা আদায় করছিলে? তিনি বলেন, না। তিনি বলেন, যদি তা নফল রোযা হয়, তবে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।
باب فِي الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، قَالَتْ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ قَالَتْ فَجَاءَتِ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً . فَقَالَ لَهَا " أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا " . قَالَتْ لاَ . قَالَ " فَلاَ يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৭৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫
নফল রোযা পালনকারী যদি তার রোযা ভেঙ্গে ফেলে তবে তার উপর তা কাযা করা ওয়াজিব।
৭৩৩. আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আর হাফসা (রাযিঃ) উভয়েই একবার রোযা পালন করছিলাম। আমাদের সামনে খুবই লোভনীয় খাবার এলো, আমরা তা থেকে খেয়ে নিলাম। তারপরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলে হাফসা (রাযিঃ) আমার আগেই তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। আর তিনি ছিলেন তার বাপের বেটি (পিতা, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর মত সাহসী) কাজেই বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা দুজন রোযাদার ছিলাম। এমন সময় আমাদের সামনে লোভনীয় খাবার এলে; আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তিনি বললেন, তোমরা উভয়ে এর স্থলে আরেক দিন রোযা পালন করবে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, সালিহ্ ইবনে আবুল আখদার ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু হাফস (রাহঃ) এই হাদীসটিকে যুহরী (রাহঃ), উরওয়া, আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মালিক ইবনে আনাস, মা‘মার, উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর, যিয়াদ ইবনে সা’দ (রাহঃ) প্রমূখ হাফিযুল হাদীস যুহরী (রাহঃ) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে মুরসাল হিসেবে এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। এতে তাঁরা উরওয়ার নাম উল্লেখ করেননি। আর এটিই অধিকতর সহীহ। কেননা, ইবনে জুরাউজ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি যুহরীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার নিকট আয়িশা (রাযিঃ) এর বরাতে উরওয়া কিছু রিওয়ায়াত করেছেন কি? তিনি বললেন, এই বিষয়ে আমি উরওয়া থেকে কিছু শুনিনি। তবে সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিকের খিলাফতকালে এ হাদীস সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাদের কারো কাছ থেকে কিছু লোকের মাধ্যমে আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে এটি আমি শুনেছি। এই হাদীসটি আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, আলী ইবনে ঈসা ইবনে ইয়াযীদ বাগদাদী রাওহ ইবনে উবাইদা ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) শেষ পর্যন্ত। কতক সাহাবী ও অপরাপর একদল আলিম এই হাদীস অনুসারে আমলের মত গ্রহণ করেছেন। নফল রোযা ভঙ্গ করলে কাযা করতে হবে বলে তাঁরা মনে করেন। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাযিঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي إِيجَابِ الْقَضَاءِ عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ، صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَدَرَتْنِي إِلَيْهِ حَفْصَةُ وَكَانَتِ ابْنَةَ أَبِيهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ . قَالَ " اقْضِيَا يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى صَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ هَذَا . وَرَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَزِيَادُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَائِشَةَ مُرْسَلاً . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُرْوَةَ وَهَذَا أَصَحُّ .
لأَنَّهُ رُوِيَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ قُلْتُ لَهُ أَحَدَّثَكَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَ لَمْ أَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ فِي هَذَا شَيْئًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُ فِي خِلاَفَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ نَاسٍ عَنْ بَعْضِ مَنْ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ عِيسَى بْنِ يَزِيدَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَرَأَوْا عَلَيْهِ الْقَضَاءَ إِذَا أَفْطَرَ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ .