আলফিয়্যাতুল হাদীস

সূর্য গ্রহণের নামায -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:৯৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৩
৬৬৪. সুর্যগ্রহণের সময় নামায।
৯৮৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইবরাহীম (রাযিঃ) ইন্‌তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগলো, ইবরাহীম (রাযিঃ) এর মৃত্যুর কারণেই সুর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন নামায আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দুআ করবে।
أَبْوَابُ الكُسُوفِ بَابُ الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ ".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সুনানে নাসায়ী

হাদীস নং:১৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৬
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৯। ইবরাহীম ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) ......... কাবীসা ইবনে মুখারিক হিলালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে মদীনায় ছিলাম। তখন তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাপড় সামলাতে সামলাতে বের হলেন। তারপর দু’রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তা এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, তার নামায সমাপ্তির সাথে সাথে সূর্যের আলো বিকশিত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন। তারপর বললেন যে, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। নিশ্চয়ই কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তার কোন চিহ্ন দেখতে পাও, তখন নামায আদায় কর তোমাদের নামায আদায়কৃত ফরয নামাযের ন্যায়।
باب نَوْعٌ آخَرُ
وَأَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، أَنَّ جَدَّهُ، عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْوَازِعِ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَنَحْنُ إِذْ ذَاكَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَهُمَا فَوَافَقَ انْصِرَافُهُ انْجِلاَءَ الشَّمْسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৪
৬৬৫. সূর্যগ্রহণের সময় সাদ্‌কা করা।
৯৮৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় একবার সূর্যগ্রহণ হল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। তিনি দীর্ঘ সময় কিয়াম করেন, এরপর দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করেন। এরপর পুনরায় (নামাযে) তিনি উঠে দাঁড়ান এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন। অবশ্য তা প্রথম কিয়ামের চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি রুকু’ করেন এবং এ রুকু’ও দীর্ঘ করেন। তবে তা প্রথম রুকুর চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি সিজদা করেন এবং সিজদাও দীর্ঘক্ষণ করেন। এরপর তিনি প্রথম রাকআতে যা করেছিলেন তার অনুরূপ দ্বিতীয় রাক'আতেও করেন এবং যখন সূর্য প্রকাশিত হয় তখন নামায শেষ করেন। এরপর তিনি লোকজনের উদ্দেশ্যে খুতবা দান করেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করেন। এরপর তিনি বলেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহর নিকট দুআ করবে। তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে এবং নামায আদায় করবে ও সাদ্‌কা প্রদান করবে। এরপর তিনি আরো বললেনঃ হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর কসম, আল্লাহর কোন বান্দা যিনা করলে কিংবা কোন নারী যিনা করলে, আল্লাহর চাইতে বেশী অপছন্দকারী কেউ নেই। হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর কসম, আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে, তা হলে তোমরা অবশ্যই কম হাসতে ও বেশী কাঁদতে।
باب الصَّدَقَةِ فِي الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ، فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهْوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، وَهْوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ مَا فَعَلَ فِي الأُولَى، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ وَكَبِّرُوا، وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا ". ثُمَّ قَالَ " يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ، يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا ".