আলফিয়্যাতুল হাদীস

কিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জুদ) ও তার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:২৬২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬৩ -
৩৫. মুহাররামের রোযার ফযীলত
২৬২৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হল, ফরয নামাযসমূহের পর কোন নামায এবং রমযান মাসের রোযার পর কোন রোযা সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ফরয নামাযসমূহের পর গভীর রাতের নামায সর্বোত্তম এবং রমযান মাসের রোযার পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা সর্বোত্তম।
باب فَضْلِ صَوْمِ الْمُحَرَّمِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، الْمُنْتَشِرِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - يَرْفَعُهُ قَالَ سُئِلَ أَىُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ بَعْدَ الْمَكْتُوبَةِ وَأَىُّ الصِّيَامِ أَفْضَلُ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ فَقَالَ " أَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ الصَّلاَةُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ وَأَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ صِيَامُ شَهْرِ اللَّهِ الْمُحَرَّمِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৩৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৪৯
নবী (ﷺ) এর দুআ
কাসিম ইবনে দীনার কূফী (রাহঃ) থেকে ইসরাঈল (রাহঃ) সূত্রে উক্তরূপ বর্ণিত হয়েছে। ৩৫৪৯. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ...... বিলাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অবলম্বিত রীতি। রাতের নামায আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়; মন্দ কাজের কাফফারা এবং শারীরিক রোগের প্রতিরোধক। হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া বিলাল (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত হিসেবে এটি সম্পর্কে আমারা কিছু জানি না। সনদের দিক থেকে এটি সহীহ নয়। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ মুহাম্মাদ কুরাশী হলেন মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ শামী। ইনি ইবনে আবু কায়েস; আর ইনি মুহাহাম্মাদ ইবনে হাসসান। তাঁর বর্ণিত হাদীস পরিত্যাজ্য। মুআবিয়া ইবনে সালিহ (রাহঃ) এই হাদীসটি রাবিআ ইবনে ইয়াযীদ-আবু ইদরীস খাওলানী-আবু উমামা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের রীতি। এ হল তোমাদের রবের নৈকট্য লাভের উপায়, মন্দ কাজ সমুহের কাফফারা ও পাপসমূহের জন্য প্রতিরোধক। আবু ইদরীস-বিলাল (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত থেকে এই রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।
باب فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكُوفِيُّ عَنْ إِسْرَائِيلَ بِهَذَا .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ عَنِ الْجَسَدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ بِلاَلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ يَصِحُّ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ مُحَمَّدٌ الْقُرَشِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الشَّامِيُّ وَهُوَ ابْنُ أَبِي قَيْسٍ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ وَقَدْ تُرِكَ حَدِيثُهُ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ بِلاَلٍ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১২৩০
৩৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২৩০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ সেই ব্যক্তির প্রতি অনুগ্রহ করুন যে ব্যক্তি রাতে উঠিয়া নামায পড়ে এবং আপন স্ত্রীকেও জাগাইয়া দেয় এবং সেও নামায পড়িয়াছে, আর যদি সে উঠিতে অস্বীকার করিয়াছে, তাহার মুখে পানি ছিটকাইয়া দিয়াছে। এইরূপে আল্লাহ্ অনুগ্রহ বর্ষণ করুন সেই স্ত্রীলোকের প্রতি যে রাতে উঠিয়া নামায পড়িয়াছে এবং আপন স্বামীকেও জাগাইয়া দিয়াছে এবং সেও নামায পড়িয়াছে। আর যদি সে উঠিতে অস্বীকার করিয়াছে তাহার মুখমণ্ডলে পানি ছিটকাইয়া দিয়াছে। –আবু দাউদ ও নাসায়ী
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ. رَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ المَاء» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১২২৩
৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২২৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমাদের পরওয়ারদেগার তাবারাকা ও তাআলা প্রত্যেক রাতেই এই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন, যখন রাত্রির শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে এবং বলিতে থাকেন, কে আছ, যে আমায় ডাকিবে আর আমি তাহার ডাকে সাড়া দিব? কে আছ যে আমার নিকট কিছু চাহিবে, আর আমি তাহাকে তাহা দান করিব এবং কে আছ যে আমার নিকট ক্ষমা চাহিবে, আর আমি তাহাকে ক্ষমা করিব। – মোত্তাঃ মুসলিমের এক বর্ণনায় ইহাও রহিয়াছে, অতঃপর তিনি আপন দুই হাত পাতিয়া বলিতে থাকেন, কে আছ, যে ঋণ দিবে অ-দরিদ্র এবং অ-অত্যাচারীকে যাবৎ না উষার উদয় হয়।
بَابُ التَّحْرِيْضِ عَلى قِيَامِ اللَّيْلِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ؟ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ؟ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ؟

وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: ثُمَّ يَبْسُطُ يَدَيْهِ وَيَقُولُ: «مَنْ يُقْرِضُ غَيْرَ عَدُومٍ وَلَا ظَلُومٍ؟ حَتَّى ينفجر الْفجْر»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা