وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡۢ بَعۡدُ وَہَاجَرُوۡا وَجٰہَدُوۡا مَعَکُمۡ فَاُولٰٓئِکَ مِنۡکُمۡ ؕ وَاُولُوا الۡاَرۡحَامِ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৭. যে সকল মুসলিম ইতঃপূর্বে হিজরত করেনি, তারাও পরিশেষে হিজরত করে মদীনায় চলে এসেছে, এটা সেই সময়কার কথা। তাদের সম্পর্কে এ আয়াতে দু’টি বিধান বর্ণিত হয়েছে। (ক) হিজরতের মাধ্যমে তারা যেহেতু নিজেদের সেই ত্রুটি দূর করে ফেলেছে, যদ্দরুণ তাদের মর্যাদা মুহাজির ও আনসারদের চেয়ে নিচে ছিল, সেহেতু এখন তারাও তাদের সম-মর্যাদার হয়ে গেছে। (খ) এত দিন তারা তাদের মুহাজির আত্মীয়দের ওয়ারিশ হতে পারত না। এখন তারাও যেহেতু হিজরত করে মদীনায় চলে এসেছে এবং ওয়ারিশ হওয়ার মূল প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে গেছে, তাই এখন তারা তাদের মুহাজির ভাইদের ওয়ারিশ হবে। এর অনিবার্য ফল এই যে, ইতঃপূর্বে আনসারী ভাইদেরকে যে মুহাজিরদের ওয়ারিশ বানানো হয়েছিল, তা রহিত হয়ে গেছে। কেননা সেটা ছিল এক সাময়িক বিধান। মদীনায় মুহাজিরদের কোন আত্মীয় না থাকার কারণেই সে বিধান দেওয়া হয়েছিল। এখন যেহেতু তারা মদীনায় এসে গেছে, তাই এখন মীরাছের মূল বিধান ফিরে আসবে অর্থাৎ নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন হবে।