আল আনফাল

সূরা নং: ৮, আয়াত নং: ৫৮

তাফসীর
وَاِمَّا تَخَافَنَّ مِنۡ قَوۡمٍ خِیَانَۃً فَانۡۢبِذۡ اِلَیۡہِمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ  اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡخَآئِنِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

ওয়া ইম্মা-তাখা-ফান্না মিন কাওমিন খিয়া-নাতান ফামবিযইলাইহিম ‘আলা-ছাওয়াইন ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল খাইনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তুমি যদি কোনও সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা কর, তবে তুমিও (সে চুক্তি) সরাসরিভাবে তাদের দিকে ছুঁড়ে মার। ৪১ স্মরণ রেখ, আল্লাহ বিশ্বাস ভঙ্গকারীদেরকে পছন্দ করেন না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪১. যদি তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে বিশ্বাস ভঙ্গের মত কোন কাজ পাওয়া না যায়, কিন্তু সুযোগ মত বিশ্বাস ভঙ্গ করে মুসলিমদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আশঙ্কা হয়, তবে সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, এ আয়াতে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরূপ ক্ষেত্রে মুসলিমদেরকে আদেশ করা হয়েছে, তারা যেন পরিষ্কারভাবে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে দেয় এবং তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে, এখন থেকে আমাদের মধ্যে কোনও পক্ষই চুক্তি মানতে বাধ্য নয়। যে-কোনও পক্ষ চাইলে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে যে-কোনও রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এ ব্যাপারে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন। ‘তুমিও সে চুক্তি সরাসরিভাবে তাদের দিকে ছুঁড়ে মার’ বলে এ কথাই বোঝানো হয়েছে। আরবদের পরিভাষায় বাক্যটি এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়। এতদসঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, শত্রু পক্ষের দিক থেকে বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা দেখা দিলে আগেই তাদের বিরুদ্ধে চুক্তি-বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। আগে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় সেটা চুক্তি ভঙ্গের শামিল হবে, যা আল্লাহ তাআলার পছন্দ নয়।
﴾﴿