অতঃপর তারা ভূমিকম্পে আক্রান্ত হল ৫৪ এবং প্রভাতকালে তারা নিজেদের বাড়িতে অধঃমুখে পড়ে থাকল।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৪. সে জাতির উপর যে আযাব এসেছিল তা বোঝানোর জন্য কুরআন মাজীদ এখানে الرجفة (ভূমিকম্প) শব্দ ব্যবহার করেছে। সূরা হুদে বলা হয়েছে صيحة (প্রচণ্ড শব্দ), আর সূরা শুআরায় বলা হয়েছে عذاب يوم الظلة (মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি)। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.)-এর একটি বর্ণনায় আছে, তাদের উপর প্রথমে প্রচণ্ড গরম পড়ে, যাতে অস্থির হয়ে তারা চিৎকার করতে থাকে। তারপর নগরের বাইরে মেঘ দেখা দেয়। সেখানে ঠাণ্ডা বাতাস বইছিল। তারা সবাই শহর ছেড়ে সেখানে গিয়ে জড়ো হয়। সহসা সেই মেঘ থেকে অগ্নি বর্ষণ শুরু হল। একেই মেঘাচ্ছন্ন দিবস শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। তারপর আসল ভূমিকম্প (রূহুল মাআনী)। ভূমিকম্পের সাথে সাধারণত আওয়াজও থাকে। তাই এ শাস্তিকে صيحة অর্থাৎ প্রচণ্ড শব্দ বলা হয়েছে।