لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰی قَوۡمِہٖ فَقَالَ یٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰہٍ غَیۡرُہٗ ؕ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪০. ইসরাঈলী বর্ণনা অনুযায়ী হযরত নূহ আলাইহিস সালাম হযরত আদম আলাইহিস সালামের ওফাতের এক হাজার বছরেরও কিছু বেশি কাল পর জন্মগ্রহণ করেন। বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরাম এ সম্পর্কিত বর্ণনাসমূহকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন না। তাদের দু’জনের মধ্যে ঠিক কত কালের ব্যবধান ছিল তা নিশ্চিতভাবে জানার কোনও উপায় নেই। কুরআন মাজীদ দ্বারা জানা যায়, এ দীর্ঘ কাল পরিক্রমায় মূর্তিপূজার ব্যাপক প্রচলন ঘটেছিল। হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কওমও বিভিন্ন রকম মূর্তি গড়ে নিয়েছিল। সূরা নূহে তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা আনকাবুতে (২৯ : ১৪) আছে, হযরত নূহ আলাইহিস সালাম তাদেরকে সাড়ে নয়শ’ বছর পর্যন্ত সত্যের পথে ডেকেছিলেন। তিনি সর্বপ্রকারেই তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। সামান্য সংখ্যক ভাগ্যবান সাথী তাঁর কথায় ঈমান এনেছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল গরীব শ্রেণীর লোক। কওমের বেশির ভাগ লোকই কুফরের পথ ধরে রাখে। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম অবিরত তাদেরকে আল্লাহ তাআলার আযাব সম্পর্কে ভয় দেখাতে থাকেন, কিন্তু কোনও মতেই যখন তারা মানল না, পরিশেষে তিনি বদদোয়া করলেন। ফলে তাদেরকে এক ভয়াল বন্যায় নিমজ্জিত করা হয়। হযরত নূহ আলাইহিস সালামের ঘটনা ও তার কওমের উপর আপতিত বন্যা সম্পর্কে সূরা হুদ (১১ : ২৫-৪৯) ও সূরা নূহে (সূরা নং ৭১) বিস্তারিত বিবরণ আসবে। তাছাড়া সূরা মুমিনুন (২৩ : ২৩), সূরা শুআরা (২৬ : ১০৫) সূরা কামারেও (৫৪ : ৯) তাদের ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। অন্যান্য স্থানে তাদের কেবল বরাত দেওয়া হয়েছে।