আল আ'রাফ

সূরা নং: ৭, আয়াত নং: ৫৬

তাফসীর
وَلَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِہَا وَادۡعُوۡہُ خَوۡفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰہِ قَرِیۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

উচ্চারণ

ওয়ালা-তুফছিদূফিল আরদিবা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া তামা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর তাতে অশান্তি বিস্তার করো না ৩৬ এবং (অন্তরে তাঁর) ভয় ও আশা রেখে তাঁর ইবাদত কর। ৩৭ নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৬. এ আয়াতে যে ‘দোয়া’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, অধিকাংশ তাফসীরবিদের মতে এর দ্বারা ইবাদত বোঝানো হয়েছে। এ কারণেই আমরা এর তরজমা করেছি ইবাদত। আয়াতে প্রকৃত ইবাদতের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে যে, ইবাদতকারীর অন্তরে ইবাদতের কারণে অহংকার সৃষ্টি তো হবেই না; বরং এই ভয় জাগ্রত থাকবে যে, জানি না আমি ইবাদতের হক আদায় করতে পেরেছি কি না এবং আমার এ ইবাদত আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হওয়ার উপযুক্ত কি না! অপর দিকে ইবাদতের ত্রুটির প্রতি লক্ষ্য করে তার অন্তরে হতাশাও সৃষ্টি হবে না; বরং আল্লাহ তাআলার রহমতের প্রতি লক্ষ্য করে আশা সঞ্চার হবে যে, তিনি নিজ দয়ায় এটা কবুল করে নেবেন। অর্থাৎ নিজ ত্রুটিজনিত ভয় ও আল্লাহ তাআলার রহমতপ্রসূত আশা-এ উভয় গুণের সম্মিলন দ্বারাই ইবাদত যথার্থ রূপ লাভ করে।
﴾﴿