আল আ'রাফ

সূরা নং: ৭, আয়াত নং: ৪৬

তাফসীর
وَبَیۡنَہُمَا حِجَابٌ ۚ وَعَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰہُمۡ ۚ وَنَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡہَا وَہُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া বাইনাহুমা-হিজা-বুওঁ ওয়া ‘আলাল আ‘রা-ফি রিজা-লুইঁ ইয়া‘রিফূনা কুল্লাম বিছীমাহুম ওয়া না-দাও আসহা-বাল জান্নাতি আন ছালা-মুন ‘আলাইকুম লাম ইয়াদখুলূহা-ওয়া হুম ইয়াতমা‘ঊন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসী এই) উভয় দলের মধ্যে একটি আড়াল থাকবে। আর আরাফ-এ (অর্থাৎ সেই আড়ালের উচ্চতায়) কিছু লোক থাকবে, যারা প্রত্যেক দলের লোককে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবে। ৩০ তারা জান্নাতবাসীদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম। তারা (অর্থাৎ আরাফবাসী) তখনও পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করেনি, কিন্তু তারা সাগ্রহে (তার) আশাবাদী হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩০. এমনিতে তো আরাফের লোক জান্নাতবাসী ও জাহান্নামী উভয় শ্রেণীর লোকদেরকেই সরাসরি দেখতে পাবে। তাই কোনও দলের লোকদেরকেই চেনার জন্য তাদের কোন আলামতের দরকার হবে না। তারপরও যে এখানে আলামতের কথা বলা হয়েছে, এর দ্বারা ইশারা করা উদ্দেশ্য যে, তারা জান্নাত ও জাহান্নামবাসীদেরকে দুনিয়ায়ও তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনত। আর তারা যেহেতু ঈমানদার ছিল, তাই দুনিয়ায়ও আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এতটুকু অনুভূতি দিয়েছিলেন, যা দ্বারা তারা চেহারা দেখেই বুঝতে পারত যে, এরা মুত্তাকী-পরহেজগার ও নেককার লোক। এমনিভাবে তারা কাফেরদের চেহারা দেখেও চিনে ফেলত যে, এরা কাফের (ইমাম রাযী, তাফসীরে কাবীর)।
﴾﴿