وَبَیۡنَہُمَا حِجَابٌ ۚ وَعَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰہُمۡ ۚ وَنَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡہَا وَہُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩০. এমনিতে তো আরাফের লোক জান্নাতবাসী ও জাহান্নামী উভয় শ্রেণীর লোকদেরকেই সরাসরি দেখতে পাবে। তাই কোনও দলের লোকদেরকেই চেনার জন্য তাদের কোন আলামতের দরকার হবে না। তারপরও যে এখানে আলামতের কথা বলা হয়েছে, এর দ্বারা ইশারা করা উদ্দেশ্য যে, তারা জান্নাত ও জাহান্নামবাসীদেরকে দুনিয়ায়ও তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনত। আর তারা যেহেতু ঈমানদার ছিল, তাই দুনিয়ায়ও আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এতটুকু অনুভূতি দিয়েছিলেন, যা দ্বারা তারা চেহারা দেখেই বুঝতে পারত যে, এরা মুত্তাকী-পরহেজগার ও নেককার লোক। এমনিভাবে তারা কাফেরদের চেহারা দেখেও চিনে ফেলত যে, এরা কাফের (ইমাম রাযী, তাফসীরে কাবীর)।