فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا اَوۡ کَذَّبَ بِاٰیٰتِہٖ ؕ اُولٰٓئِکَ یَنَالُہُمۡ نَصِیۡبُہُمۡ مِّنَ الۡکِتٰبِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُنَا یَتَوَفَّوۡنَہُمۡ ۙ قَالُوۡۤا اَیۡنَ مَا کُنۡتُمۡ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ قَالُوۡا ضَلُّوۡا عَنَّا وَشَہِدُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ اَنَّہُمۡ کَانُوۡا کٰفِرِیۡنَ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং (বল), তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে, যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করে? এরূপ লোকদের ভাগ্যে (রিযকের) যতটুকু অংশ লেখা আছে, তা তাদের নিকট (দুনিয়ার জীবনে) পৌঁছবেই। ২৩ অবশেষে যখন আমার প্রেরিত ফিরিশতাগণ তাদের রূহ কবজ করার জন্য তাদের নিকট আসবে তখন তারা বলবে, তারা কোথায়, আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে তোমরা ডাকতে? তারা বলবে, তারা আমাদের থেকে অন্তর্হিত হয়েছে এবং তারা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, আমরা কাফের ছিলাম।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
২৩. এখানে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, দুনিয়ায় রিযক দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা মুমিন ও কাফেরের মধ্যে কোনও প্রভেদ করেননি। বরং প্রত্যেকের জন্য রিযকের একটা অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যা সর্বাবস্থায়ই তার কাছে পৌঁছবে, সে ঘোরতর কাফেরই হোক না কেন। সুতরাং দুনিয়ায় যদি কারও জীবিকার প্রাচুর্য লাভ হয়, তবে সে যেন মনে না করে, তার কর্মপন্থা আল্লাহ তাআলার পছন্দ, যেমন ওই কাফেরগণ মনে করছে। যখন মৃত্যু এসে উপস্থিত হবে, তখনই তারা প্রকৃত সত্য টের পাবে।