وَلِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১০১. আগের আয়াতে অবাধ্যদের মূল রোগ বলা হয়েছিল এই যে, তারা বড় গাফেল। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার স্মরণ ও তার সামনে জবাবদিহিতার অনুভূতি সম্পর্কে তারা উদাসীন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দুনিয়ায় সব রকম অনিষ্টতার আসল কারণ এটাই হয়ে থাকে। তাই এবার এ রোগের চিকিৎসা বাতলানো হচ্ছে। আর তা হচ্ছে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করা ও নিজের সব প্রয়োজন তাঁরই কাছে চাওয়া। প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহ তাআলাকে ডাকার যে নির্দেশ এ আয়াতে দেওয়া হয়েছে, তা দ্বারা তাসবীহ, তাহলীলের মাধ্যমে তাঁর যিকির করা এবং তাঁর কাছে দোয়া করা উভয়টাই বোঝানো হয়েছে। গাফলতি দূর করার উপায় কেবল এটাই যে, বান্দা নিজ প্রতিপালককে উভয় পন্থায় ডাকবে। অবশ্য তাঁকে ডাকার জন্য তার উত্তম নামসমূহের ব্যবহারকে জরুরী করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর উত্তম নামসমূহ বা আসমাউল হুসনা-এর কতক তো তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন এবং কতক তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীসের মাধ্যমে জানিয়েছেন। কুরআন মাজীদের কয়েক স্থানে আসমাউল হুসনার প্রতি ইশারা করা হয়েছে (দেখুন, সূরা বনী ইসরাঈল ১৭ : ১১০; সূরা তোয়াহা ২০ : ৮ ও সূরা হাশর ৫৯ : ২৪)। সহীহ বুখারী ও অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম আছে। তিরমিযী ও হাকিম সে নামসমূহও বর্ণনা করেছেন। সারকথা, সেই আসমাউল হুসনার অন্তর্ভুক্ত কোন নাম দ্বারাই আল্লাহ তাআলার যিকির ও তাঁর কাছে দোয়া করা চাই। নিজের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য কোনও নাম তৈরি করে নেওয়া ঠিক নয়।