আমি মূসার জন্য ত্রিশ রাতের মেয়াদ স্থির করেছিলাম (যে, এ রাতসমূহে তূর পাহাড়ে এসে ইতিকাফ করবে)। তারপর আরও দশ দ্বারা তা পূর্ণ করি। ৭১ এভাবে তার প্রতিপালকের নির্ধারিত মেয়াদ চল্লিশ রাত হয়ে গেল এবং মূসা তার ভাই হারুনকে বলল, আমার অনুপস্থিতিতে তুমি আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে, সবকিছু ঠিকঠাক রাখবে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অনুসরণ করবে না।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭১. ফির‘আউনের থেকে মুক্তি লাভ ও সাগর পার হওয়ার পর যা-কিছু ঘটেছিল তার কিছু ঘটনা এস্থলে উল্লেখ করা হয়নি। সূরা মায়েদায় ( ৫ : ২০-২৬) তার কিছু ঘটনা গত হয়েছে। সেসব আয়াতের টীকায় আমরা তার প্রয়োজনীয় বিবরণও উল্লেখ করেছি। এখানে তীহ উপত্যকা (সীনাহ মরুভূমি)-এর কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে। বনী ইসরাঈলকে তাদের নাফরমানীর কারণে এ মরুভূমিতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছিল। (সূরা মায়েদায় সে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে)। এ সময় তারা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাছে দাবী করেছিল, আপনি নিজ ওয়াদা অনুযায়ী আমাদেরকে কোন আসমানী কিতাব এনে দিন, যে কিতাবে আমাদের জীবন যাপনের নীতিমালা লিপিবদ্ধ থাকবে। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে তূর পাহাড়ে এসে ত্রিশ দিন ইতিকাফ করতে বললেন। পরে বিশেষ কোনও কারণে এ মেয়াদ বৃদ্ধি করে চল্লিশ দিন করে দেওয়া হল। এই ইতিকাফ চলাকালেই আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সৌভাগ্য দান করেন এবং মেয়াদ শেষে তাঁর উপর তাওরাত গ্রন্থ নাযিল করেন। এ কিতাব অনেকগুলো ফলকে লেখা ছিল।