وَقَالَ الۡمَلَاُ مِنۡ قَوۡمِ فِرۡعَوۡنَ اَتَذَرُ مُوۡسٰی وَقَوۡمَہٗ لِیُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَیَذَرَکَ وَاٰلِہَتَکَ ؕ قَالَ سَنُقَتِّلُ اَبۡنَآءَہُمۡ وَنَسۡتَحۡیٖ نِسَآءَہُمۡ ۚ وَاِنَّا فَوۡقَہُمۡ قٰہِرُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৩. অনুমান করা যায়, যে সকল যাদুকর ঈমান এনেছিল ফির‘আউন তাদেরকে শাস্তির হুমকি দিলেও হযরত মূসা আলাইহিস সালামের মুজিযা এবং যাদুকরদের ঈমান ও অবিচলতা দেখে মানসিকভাবে দমে গিয়েছিল। বিশেষত বনী ইসরাঈলের বিপুল সংখ্যক লোক ঈমান আনায় তাৎক্ষণিকভাবে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তার অনুসারীদের উপর হাত তোলার সাহস তার হয়নি। সমাবেশ ভেঙ্গে যাওয়ার পর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর অনুসারীগণ নিজ-নিজ বাড়ি চলে গেল। এ সময়েই ফির‘আউনের অমাত্যবর্গ ওই কথা বলেছিল, যা আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। তাদের কথার সারমর্ম এই যে, আপনি তো ওদেরকে স্বাধীন ছেড়ে দিলেন। এখন দিন-দিন শক্তি সঞ্চয় করে ওরা আপনার জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠবে। ফির‘আউন নিজ অপমান লুকানোর জন্য তাদেরকে উত্তর দিল, আপাতত আমি তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেও আগামীতে আমি তাদের দেখে নেব। আমি বনী ইসরাঈলকে এক-একজন করে খতম করব। তবে তাদের নারীদেরকে হত্যা করব না। তাদেরকে আমাদের সেবিকা বানাব। সে তার লোকদেরকে এ ব্যাপারেও আশ্বস্ত করল যে, পরিবেশ-পরিস্থিতি তার করায়ত্ত রয়েছে এবং তার কর্ম-কৌশল এমন নিখুঁত যে, কোনও রকম বিপদ সৃষ্টিরও আশঙ্কা নেই। এভাবে বনী ইসরাঈলের পুরুষদেরকে হত্যা করার এক নতুন যুগ শুরু হয়ে গেল। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এ পরিস্থিতিতে মুমিনদেরকে সবর করতে বললেন এবং আশা দিলেন যে, ইনশাআল্লাহ শুভ পরিণাম তোমাদেরই অনুকূলে থাকবে।