وَلَا تَسُبُّوا الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَیَسُبُّوا اللّٰہَ عَدۡوًۢا بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ کَذٰلِکَ زَیَّنَّا لِکُلِّ اُمَّۃٍ عَمَلَہُمۡ ۪ ثُمَّ اِلٰی رَبِّہِمۡ مَّرۡجِعُہُمۡ فَیُنَبِّئُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৫. কাফের ও মুশরিকগণ যেই দেবতাদেরকে মাবুদ বলে বিশ্বাস করে, যদিও তাদের কোনও বাস্তবতা নেই, তথাপি এ আয়াতে মুসলিমদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন কাফেরদের সামনে তাদের সম্পর্কে অশোভন শব্দ ব্যবহার না করে। এর কারণ বলা হয়েছে এই যে, কাফেরগণ প্রতিউত্তরে আল্লাহ তাআলার সাথে বেয়াদবী করতে পারে। আর তারা যদি তা করে, তবে তোমরাই তার ‘কারণ’ হবে। আল্লাহ তাআলার শানে নিজে যেমন বেয়াদবী করা হারাম, তেমনি বেয়াদবীর ‘কারণ’ হওয়াও হারাম। ফুকাহায়ে কিরাম এ আয়াত থেকে মূলনীতি বের করেছেন যে, এমনিতে কোনও কাজ যদি জায়েয বা মুস্তাহাব হয়, কিন্তু তার ফলে অন্য কারও গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে সে ক্ষেত্রে সেই জায়েয বা মুস্তাহাব কাজ ছেড়ে দেওয়া উচিত। অবশ্য এরূপ ক্ষেত্রে কোনও ফরয বা ওয়াজিব কাজ ত্যাগ করা জায়েয হবে না। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে হলে ‘মাআরিফুল কুরআন’ গ্রন্থের এই আয়াত সম্পর্কিত তাফসীর দেখা যেতে পারে। প্রকাশ থাকে যে, আরববাসী যদিও আল্লাহ তাআলাকে মানত এবং মৌলিকভাবে তারাও আল্লাহ তাআলার সাথে বেয়াদবী করাকে জায়েয মনে করত না, কিন্তু জেদের বশবর্তীতে তাদের দ্বারা এরূপ কোনও কাজ হয়ে যাওয়া কিছু অসম্ভব ছিল না। সুতরাং কোন কোনও রিওয়ায়াতে আছে, তাদের কিছু লোক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুমকি দিয়েছিল, আপনি যদি আমাদের দেব-দেবীদের মন্দ বলেন, তবে আমরাও আপনার রব্বকে মন্দ বলব।