আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ১০৭

তাফসীর
وَلَوۡ شَآءَ اللّٰہُ مَاۤ اَشۡرَکُوۡا ؕ وَمَا جَعَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ۚ وَمَاۤ اَنۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِوَکِیۡلٍ

উচ্চারণ

ওয়া লাও শাআল্লা-হু মাআশরাকূ ওয়ামা-জা‘আলনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজাওঁ ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ চাইলে তারা শিরক করত না। ৫৩ আমি তোমাকে তাদের রক্ষক নিযুক্ত করিনি এবং তুমি তাদের (কাজ-কর্মের) যিম্মাদারও নও। ৫৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৩. পূর্বে ৩৪ নং আয়াতেও একথা বলা হয়েছে। এর সারমর্ম এই যে, আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে জোরপূর্বক একই দীনের অনুসারী বানিয়ে দিতেন, কিন্তু দুনিয়ায় যেহেতু মানব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য তাদেরকে পরীক্ষা করা, তাই এরূপ জবরদস্তি করা হয় না। কেননা পরীক্ষার দাবী হল মানুষকে দিয়ে জোরপূর্বক কিছু না করানো। বরং সে স্বেচ্ছায় নিজ বোধ-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিখিল বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা নিদর্শনাবলীর মধ্যে চিন্তা করবে এবং তার ফলশ্রুতিতে খুশী মনে তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে। নবীগণকে পাঠানো হয় সে সব নিদর্শনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং আসমানী কিতাব নাযিল করা হয় সে পরীক্ষাকে সহজ করার লক্ষ্যে। কিন্তু এর দ্বারা উপৃকত হয় কেবল তারাই, যাদের অন্তরে সত্য সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসা আছে।
﴾﴿
সূরা আল আনআম, আয়াত ৮৯৬