আল হাদীদ

সূরা নং: ৫৭, আয়াত নং: ১৯

তাফসীর
وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَرُسُلِہٖۤ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصِّدِّیۡقُوۡنَ ٭ۖ  وَالشُّہَدَآءُ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ  لَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ وَنُوۡرُہُمۡ ؕ  وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَکَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ٪

উচ্চারণ

ওয়াল্লাযীনা আ-মানূবিল্লা-হি ওয়া রুছুলিহীউলাইকা হুমুসসিদ্দীকূনা ওয়াশশুহাদাউ ‘ইনদা রাব্বিহিম লাহুম আজরুহুম ওয়া নূরুহুম ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়াকাযযাবূবিআ-য়া-তিনাউলাইকা আসহা-বুল জাহীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যারা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে, তারাই তাদের প্রতিপালকের কাছে সিদ্দীক ও শহীদ। ১৭ তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রতিদান ও তাদের নূর। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে এবং আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করেছে, তারাই জাহান্নামবাসী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৭. ‘সিদ্দীক’ বলে এমন ব্যক্তিকে, যে কথা ও কর্মে সাচ্চা। নবী-রাসূলগণের পর এটা তাকওয়া-পরহেজগারীর সর্বোচ্চ স্তর। যেমন সূরা নিসায় (৪ : ৭০) গত হয়েছে। ‘শহীদ’-এর আভিধানিক অর্থ সাক্ষী। কিয়ামতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের পরহেজগার ব্যক্তিবর্গ পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে, যেমন সূরা বাকারায় (২ : ১৪৩) বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া আল্লাহ তাআলার পথে জিহাদ রত অবস্থায় যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে, তাদেরকেও শহীদ বলে। এস্থলে মুনাফেকদের বিপরীতে বলা হচ্ছে যে, কেবল মৌখিক দাবির মাধ্যমে কেউ সিদ্দীক ও শহীদের মর্যাদা লাভ করতে পারে না। বরং সে মর্যাদা অর্জিত হয় কেবল তাদেরই, যারা অন্তর থেকে পরিপক্ব ঈমান আনে, ফলে তাদের ঈমানের আছর ও আলামত তাদের যাপিত জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়।
﴾﴿