وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَرُسُلِہٖۤ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصِّدِّیۡقُوۡنَ ٭ۖ وَالشُّہَدَآءُ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ لَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ وَنُوۡرُہُمۡ ؕ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَکَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৭. ‘সিদ্দীক’ বলে এমন ব্যক্তিকে, যে কথা ও কর্মে সাচ্চা। নবী-রাসূলগণের পর এটা তাকওয়া-পরহেজগারীর সর্বোচ্চ স্তর। যেমন সূরা নিসায় (৪ : ৭০) গত হয়েছে। ‘শহীদ’-এর আভিধানিক অর্থ সাক্ষী। কিয়ামতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের পরহেজগার ব্যক্তিবর্গ পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে, যেমন সূরা বাকারায় (২ : ১৪৩) বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া আল্লাহ তাআলার পথে জিহাদ রত অবস্থায় যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে, তাদেরকেও শহীদ বলে। এস্থলে মুনাফেকদের বিপরীতে বলা হচ্ছে যে, কেবল মৌখিক দাবির মাধ্যমে কেউ সিদ্দীক ও শহীদের মর্যাদা লাভ করতে পারে না। বরং সে মর্যাদা অর্জিত হয় কেবল তাদেরই, যারা অন্তর থেকে পরিপক্ব ঈমান আনে, ফলে তাদের ঈমানের আছর ও আলামত তাদের যাপিত জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়।