وَاِذَا سَمِعُوۡا مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَی الرَّسُوۡلِ تَرٰۤی اَعۡیُنَہُمۡ تَفِیۡضُ مِنَ الدَّمۡعِ مِمَّا عَرَفُوۡا مِنَ الۡحَقِّ ۚ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاکۡتُبۡنَا مَعَ الشّٰہِدِیۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৪. হাবশা থেকে মুসলিম শরণার্থীদেরকে বহিষ্কারের দাবী জানানোর জন্য মক্কার মুশরিকগণ যখন নাজাশীর কাছে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল, তখন বাদশাহ মুসলিমদেরকে তার দরবারে ডেকে তাদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন। তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচাত ভাই হযরত জাফর বিন আবু তালিব (রাযি.) এক হৃদয়গ্রাহী ও সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাতে বাদশাহর অন্তরে মুসলিমদের প্রতি মহব্বত ও মর্যাদাবোধ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে তিনি বুঝে ফেলেন, তাওরাত ও ইনজীলে যেই সর্বশেষ নবীর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সেই নবী। সুতরাং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনা মুনাওয়ারায় শুভাগমন করেন, তখন নাজাশী তার উলামা ও দরবেশদের একটি প্রতিনিধি দলকে তাঁর খেদমতে প্রেরণ করেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সামনে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করেন। তা শুনে তাদের চোখ থেকে অশ্রুধারা নেমে আসল। তারা বলে উঠল, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের প্রতি যে কালাম নাযিল হয়েছিল, তার সাথে এ কালামের কতই না মিল। অনন্তর প্রতিনিধি দলটির সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল। তারা যখন নাজাশীর কাছে ফিরে গেল, সব শুনে নাজাশী নিজেও ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলেন। আলোচ্য আয়াতসমূহে সে ঘটনার দিকেই ইশারা করা হয়েছে।