আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ৮

তাফসীর
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُوۡنُوۡا قَوّٰمِیۡنَ لِلّٰہِ شُہَدَآءَ بِالۡقِسۡطِ ۫ وَلَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ عَلٰۤی اَلَّا تَعۡدِلُوۡا ؕ اِعۡدِلُوۡا ۟ ہُوَ اَقۡرَبُ لِلتَّقۡوٰی ۫ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ

উচ্চারণ

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ কূনূ কাওওয়া-মীনা লিলল্লা-হি শুহাদাআ বিলকিছতি ওয়ালা-ইয়াজরিমান্নাকুম শানাআ-নুকাওমিন ‘আলাআল্লা-তা‘দিলূ ই‘দিলূ হুওয়া আকরাবুলিত্তাকওয়া- ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা খাবীরুম বিমা-তা‘মালূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমরা হয়ে যাও আল্লাহর (বিধানাবলী পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত (এবং) ইনসাফের সাথে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে। ইনসাফ অবলম্বন করো। ১২ এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১২. ন্যায়-ইনসাফ অর্থে القسط ও العدل শব্দ দুটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্যান্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণ মত মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারও ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই। এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সাথেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফীর আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরীআতের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সাথে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরত্বপূর্ণ। (-অনুবাদক)
﴾﴿