قَالَ فَاِنَّہَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیۡہِمۡ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۚ یَتِیۡہُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
২৪. বনী ইসরাঈলের সে অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এই শাস্তি দিলেন যে, চল্লিশ বছরের জন্য ফিলিস্তিনে তাদের প্রবেশ স্থগিত করে দেওয়া হল। তারা সিনাই মরুভূমির ছোট্ট একটি এলাকার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকল; সামনে যাওয়ার কোনও পথও খুঁজে পাচ্ছিল না এবং মিসরেও ফিরে যেতে পারছিল না। হযরত মূসা (আ.), হযরত হারুন (আ.), হযরত ইউশা (আ.) ও হযরত কালিব (আ.) ও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তাদেরই বরকত ও দোয়ায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রতি বিভিন্ন রকমের নিয়ামত অবতীর্ণ করতে থাকেন, যা সূরা বাকারায় (আয়াত ২ : ৫৭-৬০) বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। রোদ থেকে রক্ষা করার জন্য মেঘের ছায়া দেওয়া হয়, ক্ষুধা নিবারণের জন্য মান্ন ও সালওয়া নাযিল করা হয় এবং তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পাথর থেকে বারটি ঝর্নাধারা চালু হয়ে যায়। বনী ইসরাঈলের এই বাস্তুহারা জীবন ছিল তাদের উপর আল্লাহ তা‘আলার এক আযাব, কিন্তু এটাকেই আল্লাহ তা‘আলা উল্লিখিত মহা পুরুষদের পক্ষে আত্মিক প্রশান্তির উপকরণ বানিয়ে দেন। হযরত হারুন (আ.) ও মূসা (আ.) যথাক্রমে এই মরুভূমিতেই ইন্তিকাল করেন। তাদের পর হযরত ইউশা (আ.)কে নবী বানানো হয়। শামের কিছু এলাকা তাঁর নেতৃত্বে এবং কিছু এলাকা হযরত শামুয়েল আলাইহিস সালামের আমলে তালুতের নেতৃত্বে বিজিত হয়। সে ঘটনা সূরা বাকারায় (আয়াত ২ : ২৪৬-২৫২) বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। এভাবে আল্লাহ তা‘আলা এ ভূখণ্ডটি বনী ইসরাঈলকে প্রদান করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেন।