یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحِلُّوۡا شَعَآئِرَ اللّٰہِ وَلَا الشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَلَا الۡہَدۡیَ وَلَا الۡقَلَآئِدَ وَلَاۤ آٰمِّیۡنَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَرِضۡوَانًا ؕ وَاِذَا حَلَلۡتُمۡ فَاصۡطَادُوۡا ؕ وَلَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ اَنۡ صَدُّوۡکُمۡ عَنِ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اَنۡ تَعۡتَدُوۡا ۘ وَتَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَالتَّقۡوٰی ۪ وَلَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَالۡعُدۡوَانِ ۪ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
ইয়া আইয়ূহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তুহিললূশা‘আইরাল্লা-হি ওলাশশাহরাল হারা-মা ওয়ালাল হাদইয়া ওয়ালাল কালাইদা ওয়ালাআম্মীনাল বাইতাল হারা-মা ইয়াবতাগূনা ফাদলাম মির রাব্বিহিম ওয়া রিদওয়ানাওঁ ওয়া ইযা-হালালতুম ফাসতা-দূ ওয়ালা-ইয়াজরিমান্নাকুম শানাআ-নুকাওমিন আন সাদ্দূকুম ‘আনিল মাছজিদিল হারা-মি আন তা‘তাদূ । ওয়া তা‘আ-ওয়ানূ‘আলাল বিররি ওয়াত্তাকওয়া- ওয়ালা-তা‘আ-ওয়ানূ‘আলাল ইছমি ওয়াল ‘উদওয়া-নি ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
হে মুমিনগণ! অবমাননা করো না আল্লাহর নিদর্শনাবলীর, না সম্মানিত মাসসমূহের, না সেই সকল প্রাণীর যাদেরকে কুরবানীর জন্য হারামে নিয়ে যাওয়া হয়, না তাদের গলায় পরানো মালার এবং না সেই সব লোকের যারা তাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র গৃহ অভিমুখে গমন করে। আর তোমরা যখন ইহরাম খুলে ফেল, তখন শিকার করতে পার। তোমাদেরকে মসজিদুল হারামে (প্রবেশ করতে) বাধা দিয়েছিল, এই কারণে কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি তোমাদের শত্রুতা যেন তোমাদেরকে (তাদের প্রতি) সীমালংঘন করতে প্ররোচিত না করে। ৫ তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অতি কঠিন।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
৫. হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে মক্কা মুকাররমার কাফিরগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সঙ্গীগণকে পবিত্র হারামে প্রবেশ করতে ও উমরা আদায়ে বাধা দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এ কারণে মুসলিমদের মনে প্রচণ্ড দুঃখ ও ক্ষোভ ছিল। সম্ভাবনা ছিল এ দুঃখ ও ক্ষোভের কারণে কোনও মুসলিম শত্রুর প্রতি এমন কোন আচরণ করে বসবে, যা শরীয়ত অনুমোদন করে না। এ আয়াত তাই সাবধান করে দিচ্ছে যে, ইসলামে সব জিনিসের জন্যই সীমারেখা স্থিরীকৃত রয়েছে। শত্রুর সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে সেই সীমারেখা লংঘন করা জায়েয নয়।