আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ১০৭

তাফসীর
فَاِنۡ عُثِرَ عَلٰۤی اَنَّہُمَا اسۡتَحَقَّاۤ اِثۡمًا فَاٰخَرٰنِ یَقُوۡمٰنِ مَقَامَہُمَا مِنَ الَّذِیۡنَ اسۡتَحَقَّ عَلَیۡہِمُ الۡاَوۡلَیٰنِ فَیُقۡسِمٰنِ بِاللّٰہِ لَشَہَادَتُنَاۤ اَحَقُّ مِنۡ شَہَادَتِہِمَا وَمَا اعۡتَدَیۡنَاۤ ۫ۖ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ

উচ্চারণ

ফাইন ‘উছিরা ‘আলাআন্নাহুমাছ তাহাক্কা ইছমান ফাআ-খারা-নি ইয়াকূমা-নি মাকামাহুমা-মিনাল্লাযীনাছতাহাক্কা ‘আলাইহিমুল আওলাইয়া-নি ফাইউকছিমা-নি বিল্লা-হি লাশাহা-দাতুনাআহাককুমিন শাহা-দাতিহিমা-ওয়া মা‘তাদাইনা ইন্নাইযাল্লা মিনাজ্জা-লিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারপর যদি জানা যায়, তারা (মিথ্যা বলে) নিশ্চিত গুনাহে লিপ্ত হয়েছে, তবে যাদের বিপরীতে এই প্রথম ব্যক্তিদ্বয় গুনাহে লিপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্য হতে দু’ ব্যক্তি এদের স্থানে (সাক্ষ্যদানের জন্য) দাঁড়াবে। ৮২ তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, ওই প্রথম ব্যক্তিদ্বয় অপেক্ষা আমাদের সাক্ষ্যই বেশি সত্য এবং (এই সাক্ষ্যদানে) আমরা সীমালংঘন করিনি। তা করলে আমরা জালিমদের মধ্যে গণ্য হব।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৮২. এ তরজমা করা হয়েছে ইমাম রাযী (রহ.)-এর গৃহীত ব্যাখ্যার ভিত্তিতে। এ হিসেবে الاوليان-এর দ্বারা প্রথম দুই সাক্ষীকে বোঝানো হয়েছে, যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল। কিরাআত (অর্থাৎ কুরআনের পাঠরীতি)-এর ইমাম হাফস (রহ.)-এর পাঠ অনুসারে যদি আয়াতের গঠনপ্রণালী চিন্তা করা যায়, তবে এই ব্যাখ্যাই বেশি সঠিক মনে হয়। হাফস (রহ.) استحق ক্রিয়াপদটিকে কর্তৃবাচ্যরূপে পড়েছেন। অপর এক ব্যাখ্যায় الاوليان শব্দটিকে ওয়ারিশদের বিশেষণ ধরা হয়েছে, কিন্তু বাক্যের গঠন প্রণালী হিসেবে তার কারণ অতি অস্পষ্ট। কেননা তখন استحق ক্রিয়াপদটির ‘কর্তা’ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দেখুন রূহুল মাআনী; আল-বাহরুল মুহীত ও আত-তাফসীরুল কাবীর। অবশ্য استحق ক্রিয়াপদটি কর্মবাচ্যরূপে পড়া হলে সে তাফসীর সঠিক হয়।
﴾﴿
সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৭৭৬ | মুসলিম বাংলা