وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ فِیۡکُمۡ رَسُوۡلَ اللّٰہِ ؕ لَوۡ یُطِیۡعُکُمۡ فِیۡ کَثِیۡرٍ مِّنَ الۡاَمۡرِ لَعَنِتُّمۡ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ حَبَّبَ اِلَیۡکُمُ الۡاِیۡمَانَ وَزَیَّنَہٗ فِیۡ قُلُوۡبِکُمۡ وَکَرَّہَ اِلَیۡکُمُ الۡکُفۡرَ وَالۡفُسُوۡقَ وَالۡعِصۡیَانَ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الرّٰشِدُوۡنَ ۙ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪. সূরার শুরুতে যে বিধান দেওয়া হয়েছিল এবং যার ব্যাখ্যা ১নং টীকায় গত হয়েছে, তার অর্থ এ নয় যে, সাহাবায়ে কেরাম কখনও কোনও বিষয়ে মত প্রকাশ করতে পারবেন না। বরং তাতে মত প্রকাশের পর তা মানার জন্য পীড়াপীড়ি করতেই নিষেধ করা হয়েছিল। এবার বলা হচ্ছে, প্রয়োজনস্থলে মতামত প্রকাশ দূষণীয় নয়। শুধু মনে রাখতে হবে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য কারও মত অনুযায়ী কাজ করা জরুরি নয়। বরং তিনি বিচার-বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় সেই সিদ্ধান্ত দান করবেন। সে সিদ্ধান্ত তোমাদের মতামতের বিপরীত হলেও তোমাদের কর্তব্য তা খুশী মনে মেনে নেওয়া। কেননা তোমাদের প্রতিটি কথা গ্রহণ করে নিলে তাতে তোমাদের নিজেদেরই ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যেমন হযরত ওয়ালীদ ইবনে উকবা (রাযি.)-এর ঘটনায় হয়েছে। তিনি তো মনে করেছিলেন বনু মুস্তালিক যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে গেছে, তাই তাঁর মত তো তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পক্ষেই থাকবে, কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মত অনুযায়ী কাজ করলে মুসলিমদের কত বড়ই না ক্ষতি হয়ে যেত। সুতরাং এর পরেই আল্লাহ তাআলা সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসা করে বলছেন, আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে ঈমানের মহব্বত সঞ্চার করেছেন। তাই তারা আনুগত্যের এ নীতিই অনুসরণ করে থাকে।