اِلَّا الَّذِیۡنَ یَصِلُوۡنَ اِلٰی قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَبَیۡنَہُمۡ مِّیۡثَاقٌ اَوۡ جَآءُوۡکُمۡ حَصِرَتۡ صُدُوۡرُہُمۡ اَنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ اَوۡ یُقَاتِلُوۡا قَوۡمَہُمۡ ؕ وَلَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَسَلَّطَہُمۡ عَلَیۡکُمۡ فَلَقٰتَلُوۡکُمۡ ۚ فَاِنِ اعۡتَزَلُوۡکُمۡ فَلَمۡ یُقَاتِلُوۡکُمۡ وَاَلۡقَوۡا اِلَیۡکُمُ السَّلَمَ ۙ فَمَا جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ عَلَیۡہِمۡ سَبِیۡلًا
মুফতী তাকী উসমানী
তবে ওই সকল লোক (এ নির্দেশ থেকে) ব্যতিক্রম, যারা এমন কোনও সম্প্রদায়ের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে, যাদের ও তোমাদের মধ্যে কোনও (শান্তি) চুক্তি আছে। অথবা যারা তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় আসে, যখন তাদের মন কুণ্ঠিত থাকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং নিজ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে। ৬৪ আল্লাহ চাইলে তাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দান করতেন, ফলে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যুদ্ধ করত। সুতরাং তারা যদি তোমাদের থেকে পাশ কাটিয়ে চলে ও তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের কাছে শান্তির প্রস্তাব দেয়, তবে আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে কোনওরূপ (ব্যবস্থা গ্রহণের) অধিকার দেননি।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৪. যে সকল মুনাফিকের কুফর প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল, পূর্বের আয়াতে তাদের সাথে যুদ্ধ ও তাদেরকে হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য দুই শ্রেণীর লোককে তা থেকে ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে (ক) যারা এমন কোন অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে গিয়ে মিলেছে, যাদের সঙ্গে মুসলিমদের শান্তিচুক্তি ছিল; আর (খ) সেই সকল লোক, যারা যুদ্ধ করতে বিলকুল নারাজ ছিল, না মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ছিল, না নিজেদের কওমের সাথে। মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধ না করলে খোদ তাদের কওমই তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে এই আশঙ্কা থাকার কারণেই কেবল তারা কওমের সাথে মিলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসত। এই শ্রেণীর লোক সম্পর্কেও মুসলিমদেরকে হুকুম দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে। এ পর্যন্ত মুনাফিকদের তিন শ্রেণী হল।