আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৮৮

তাফসীর
فَمَا لَکُمۡ فِی الۡمُنٰفِقِیۡنَ فِئَتَیۡنِ وَاللّٰہُ اَرۡکَسَہُمۡ بِمَا کَسَبُوۡا ؕ اَتُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَہۡدُوۡا مَنۡ اَضَلَّ اللّٰہُ ؕ وَمَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَلَنۡ تَجِدَ لَہٗ سَبِیۡلًا

উচ্চারণ

ফামা-লাকুম ফিল মুনা-ফিকীনা ফিআতাইনি ওয়াল্লা-হু আরকাছা-হুম বিমা-কাছাবূ আতুরীদূ না আন তাহদূমান আদাল্লাল্লা-হু ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফালান তাজিদালাহূছাবীলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? ৬৩ অথচ তারা যে কাজ করেছে তার দরুণ আল্লাহ তাদেরকে উল্টিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে (তার ইচ্ছা অনুযায়ী) গোমরাহীতে লিপ্ত করেছেন, তোমরা কি তাকে হিদায়াতের উপর আনতে চাও? আল্লাহ যাকে গোমরাহীতে লিপ্ত করেন, তার জন্য তুমি কখনই কোন (কল্যাণের) পথ পাবে না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬৩. এসব আয়াতে চার প্রকার মুনাফিকের অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রত্যেক প্রকার সম্পর্কে আলাদা-আলাদা নির্দেশ বর্ণিত হয়েছে। ৮৮নং আয়াতে মুনাফিকদের প্রথম প্রকার সম্পর্কে আলোচনা। এরা ছিল মক্কা মুকাররমার কতিপয় লোক। তারা মদীনায় এসে বাহ্যত মুসলিম হয়ে গেল এবং মুসলিমদের সহানুভূতি লাভ করল। কিছু কাল পর তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট থেকে ব্যবসার ছলে মক্কায় যাওয়ার অনুমতি নিয়ে নিল এবং চলেও গেল। তাদের সম্পর্কে কতক মুসলিমের রায় ছিল যে, তারা খাঁটি মুসলিম, আবার অন্যরা তাদের মুনাফিক মনে করত। কিন্তু তারা মক্কা মুকাররামা যাওয়ার পর যখন আর ফিরে আসল না, তখন তাদের কুফর জাহির হয়ে গেল। কেননা তখন মক্কা মুকাররমা থেকে হিজরত করা ঈমানের অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেউ হিজরত না করলে তাকে মুসলিম গণ্য করা হত না। সুতরাং এ আয়াতের অর্থ এই যে, যখন তাদের মুনাফিকী উন্মোচিত হয়ে গেল, তখন তাদের সম্পর্কে মতভিন্নতার কোনও অবকাশ নেই।