আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৮৬

তাফসীর
وَاِذَا حُیِّیۡتُمۡ بِتَحِیَّۃٍ فَحَیُّوۡا بِاَحۡسَنَ مِنۡہَاۤ اَوۡ رُدُّوۡہَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ حَسِیۡبًا

উচ্চারণ

ওয়া ইযা-হুইয়ীতুম বিতাহিইইয়াতিন ফাহাইয়ূবিআহছানা মিনহা-আও রুদ্দূহা- ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলা-কুল্লি শাইইন হাছীবা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যখন কেউ তোমাদেরকে সালাম করে, তখন তোমরা (তাকে) তদপেক্ষাও উত্তমরূপে সালাম দিয়ো কিংবা (অন্ততপক্ষে) সেই শব্দেই তার জবাব দিয়ো। ৬২ নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬২. সালামও যেহেতু আল্লাহ তাআলার সমীপে এক সুপারিশ, তাই সুপারিশের বিধান বর্ণনা করার সাথে সালামের বিধানও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সারকথা হল, কোনও ব্যক্তি যে শব্দে সালাম দিয়েছে, উত্তম হচ্ছে তাকে তদপেক্ষা আরও ভালো শব্দে জবাব দেওয়া, যেমন সে যদি বলে থাকে ‘আস-সালামু আলাইকুম’, তবে জবাবে বলা চাই ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’। সে যদি বলে, ‘আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’, তবে উত্তরে বলা চাই ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’। তবে হুবহু তারই শব্দে যদি জবাব দেওয়া হয়, সেটাও জায়েয। কোনও মুসলিম ব্যক্তি সালাম দিলে তার জবাব না দেওয়া গুনাহ।