اَفَلَا یَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ ؕ وَلَوۡ کَانَ مِنۡ عِنۡدِ غَیۡرِ اللّٰہِ لَوَجَدُوۡا فِیۡہِ اخۡتِلَافًا کَثِیۡرًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৯. এমনিতে তো মানুষের কোনও প্রচেষ্টাই দুর্বলতামুক্ত নয় এবং সে কারণেই মানব-রচিত বই-পুস্তকে প্রচুর স্ববিরোধিতা ও অসঙ্গতি পাওয়া যায়। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি নিজে কোনও পুস্তক রচনা করে দাবী করে এটা আল্লাহর কিতাব, তবে তাতে অবশ্যই প্রচুর গরমিল ও সাংঘর্ষিক কথাবার্তা থাকবে। যারা পূর্ববর্তী নবী-রাসূলের আনীত কিতাবে প্রক্ষেপণ ও বিকৃতি সাধন করেছে, তাদের সে দুষ্কর্মের কারণে সে সব কিতাবে নানা রকম গরমিল সৃষ্টি হয়ে গেছে। সেটাও এ কথার সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, মানব রচনায়, বিশেষত তা যদি আল্লাহর নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাতে অসঙ্গতি থাকা অবধারিত। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মাওলানা রহমাতুল্লাহ কিরানবী (রহ.) রচিত ‘ইজহারুল হক’ গ্রন্থখানি পড়ুন। তার উর্দূ তরজমাও হয়েছে, যা ‘বাইবেল সে কুরআন তাক্’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এর বাংলা অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে।)