আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৭

তাফসীর
لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَالۡاَقۡرَبُوۡنَ ۪ وَلِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَالۡاَقۡرَبُوۡنَ مِمَّا قَلَّ مِنۡہُ اَوۡ کَثُرَ ؕ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا

উচ্চারণ

লিররিজা-লি নাসীবুম মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা, ওয়া লিননিছাই নাসীবুম মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা মিম্মা-কাল্লা মিনহু আও কাছুরা নাসীবাম মাফরুদা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

পুরুষদের জন্যও সেই সম্পদে অংশ রয়েছে, যা পিতা-মাতা ও নিকটতম আত্মীয়বর্গ রেখে যায় আর নারীদের জন্যও সেই সম্পদে অংশ রয়েছে, যা পিতা-মাতা ও নিকটতম আত্মীয়বর্গ রেখে যায়, চাই সে (পরিত্যক্ত) সম্পদ কম হোক বা বেশি। এ অংশ (আল্লাহর তরফ থেকে) নির্ধারিত। ১০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১০. জাহিলী যুগে নারীদেরকে মীরাছের কোনও অংশ দেওয়া হত না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এ জাতীয় কিছু ঘটনা পেশ করা হল, যেমন এক ব্যক্তি এক স্ত্রী ও নাবালেগ সন্তান রেখে মারা গেল। এ অবস্থায় তার ভাইয়েরা তার রেখে যাওয়া সমুদয় সম্পত্তি কব্জা করে নিল। স্ত্রীকে তো বঞ্চিত করা হল নারী হওয়ার কারণে। আর সন্তানগণ যেহেতু নাবালেগ ছিল তাই তাদেরকেও কিছু দেওয়া হল না। এ প্রেক্ষাপটেই আলোচ্য আয়াত নাযিল হয়। এতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় যে, নারীদেরকে মীরাছ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অতঃপর সামনে ১১নং আয়াত থেকে যে রুকূ শুরু হয়েছে, তাতে সকল নর-নারী আত্মীয়বর্গের কে কি পরিমাণ পাবে তাও আল্লাহ তাআলা স্থির করে দিয়েছেন।
﴾﴿