আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৬৬

তাফসীর
وَلَوۡ اَنَّا کَتَبۡنَا عَلَیۡہِمۡ اَنِ اقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ اَوِ اخۡرُجُوۡا مِنۡ دِیَارِکُمۡ مَّا فَعَلُوۡہُ اِلَّا قَلِیۡلٌ مِّنۡہُمۡ ؕ  وَلَوۡ اَنَّہُمۡ فَعَلُوۡا مَا یُوۡعَظُوۡنَ بِہٖ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ وَاَشَدَّ تَثۡبِیۡتًا ۙ

উচ্চারণ

ওয়ালাও আন্না-কাতাবনা-‘আলাইহিম আনিকতুলূআনফুছাকুম আবিখরুজুমিন দিয়া-রিকুম মা-ফা‘আলূহু ইলা-কালীলুম মিনহুম ওয়ালাও আন্নাহুম ফা‘আলূমা-ইউ‘আজূনা বিহী লাকা-না খাইরাল্লাহুম ওয়া আশাদ্দা তাছবীতা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমি যদি তাদের উপর ফরয করে দিতাম যে, তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা কর অথবা নিজেদের ঘর-বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও, তবে তারা তা করত না তাদের অল্পসংখ্যক লোক ছাড়া। তাদেরকে যে বিষয়ে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যদি তা পালন করত, তবে তাদের পক্ষে তা বড়ই কল্যাণকর হত এবং তা (তাদের অন্তরে) অবিচলতা সৃষ্টিতে অত্যন্ত সহায়ক হত। ৫০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫০. অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে বিভিন্ন রকমের কঠিন বিধান দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটা ছিল তাওবা হিসেবে পরস্পরে একে অন্যকে হত্যা করা। সূরা বাকারার (২ : ৫৪) নং আয়াতে তার উল্লেখ রয়েছে। এখন যদি সে রকম কঠিন কোন হুকুম দেওয়া হত, তবে তাদের কেউ তা পালন করত না। এখন তো তাদেরকে অতি সহজ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেওয়া বিধানাবলী মনে-প্রাণে স্বীকার করে নাও। সুতরাং তাঁর সত্যিকার অনুগত বনে যাওয়াই তাদের জন্য নিরাপদ রাস্তা। কোনও কোনও বর্ণনায় আছে, কতক ইয়াহুদী এই বলে বড়ত্ব দেখাত যে, আমরা তো আল্লাহর এমনই এক অনুগত জাতি, যাদের পূর্ব পুরুষদেরকে পরস্পর একে অন্যকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হলে তারা সেই কঠোর নির্দেশকেও মানতে বিলম্ব করেনি। এ আয়াত তাদের সেই কথার দিকে ইশারা করছে।
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫৫৯ | মুসলিম বাংলা