وَلَا تُؤۡتُوا السُّفَہَآءَ اَمۡوَالَکُمُ الَّتِیۡ جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ قِیٰمًا وَّارۡزُقُوۡہُمۡ فِیۡہَا وَاکۡسُوۡہُمۡ وَقُوۡلُوۡا لَہُمۡ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৮. ইয়াতীমদের যারা অভিভাবকত্ব করে তাদের দায়িত্ব বর্ণনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, এক দিকে তো ইয়াতীমদের অর্থ-সম্পদকে আমানত মনে করে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, অন্যদিকে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তাদের সম্পদ যেন অসময়ে তাদের হাতে সোপর্দ করা না হয়। বরং যখন টাকা-পয়সা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার মত জ্ঞান-বুদ্ধি ও সঠিক খাতে তা ব্যয় করার মত যোগ্যতা তাদের মধ্যে এসে যাবে, তখনই যেন তাদের হাতে তা অর্পণ করা হয়। যতক্ষণ তারা অবুঝ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের হাতে তা ন্যস্ত করা যাবে না। তারা নিজেরাই যদি তাদের সম্পদ তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়, তবে তাদেরকে ন্যায়সঙ্গতভাবে বোঝানো উচিত। পরবর্তী আয়াতে এ মূলনীতিরই কিঞ্চিৎ ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, মাঝে মধ্যে ইয়াতীম শিশুদেরকে পরীক্ষা করা চাই যে, নিজেদের অর্থ-সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করার মত বুঝ-সমঝ তাদের হয়েছে কি না। আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, কেবল বালেগ হওয়াই যথেষ্ট নয়। বালেগ হওয়ার পরও যদি তারা সমঝদার না হয়, তবে তাদের হাতে সম্পদ ন্যস্ত করা যাবে না; বরং যখন বুঝে আসবে যে, তাদের মধ্যে বুদ্ধি-শুদ্ধি এসে গেছে কেবল তখনই তা তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।