وَاعۡبُدُوا اللّٰہَ وَلَا تُشۡرِکُوۡا بِہٖ شَیۡئًا وَّبِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا وَّبِذِی الۡقُرۡبٰی وَالۡیَتٰمٰی وَالۡمَسٰکِیۡنِ وَالۡجَارِ ذِی الۡقُرۡبٰی وَالۡجَارِ الۡجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالۡجَنۡۢبِ وَابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ وَمَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ مَنۡ کَانَ مُخۡتَالًا فَخُوۡرَا ۙ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং আল্লাহর ইবাদত কর ও তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করো না। পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর। আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, ৩৫ সঙ্গে বসা (বা দাঁড়ানো) ব্যক্তি, ৩৬ পথচারী এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও (সদ্ব্যবহার কর)। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দর্পিত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৫. কুরআন-সুন্নাহ প্রতিবেশীর হক আদায় ও তার প্রতি সদ্ব্যবহারের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ আয়াতে প্রতিবেশীদের তিনটি স্তর বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম স্তরকে الجارذى القربى (নিকট প্রতিবেশী), দ্বিতীয় স্তরকে الجارالجنب (দূর প্রতিবেশী) বলা হয়েছে। প্রথম স্তর দ্বারা সেই প্রতিবেশীকে বোঝানো হয়েছে, যার গৃহ নিজ গৃহ-সংলগ্ন থাকে। দ্বিতীয় স্তরের প্রতিবেশী তারা, যাদের ঘর অতটা মিলিত নয়। কেউ কেউ এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, প্রথম স্তর হল সেই প্রতিবেশী, যে আত্মীয়ও বটে, আর দ্বিতীয় স্তর যারা কেবলই প্রতিবেশী। আবার কেউ বলেন, প্রথম স্তর হল মুসলিম প্রতিবেশী, আর দ্বিতীয় স্তর অমুসলিম প্রতিবেশী। কুরআন মাজীদের শব্দাবলীতে সবগুলোরই অবকাশ আছে। মোদ্দাকথা প্রতিবেশী আত্মীয় হোক বা অনাত্মীয়, মুসলিম হোক বা অমুসলিম এবং তার গৃহ সংলগ্ন হোক বা না হোক, সর্বাবস্থায়ই তার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে।