وَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ
মুফতী তাকী উসমানী
তোমরা যদি আশংকা বোধ কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি ইনসাফ রক্ষা করতে পারবে না, তবে (তাদেরকে বিবাহ না করে) অন্য নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ কর ৪ দুই-দুইজন, তিন-তিনজন অথবা চার-চারজনকে। ৫ অবশ্য যদি আশংকা বোধ কর যে, তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, ৬ তবে এক স্ত্রীতে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীতে (ক্ষান্ত থাক)। ৭ এতে তোমাদের পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশি।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪. বুখারী শরীফের এক হাদীসে হযরত আয়েশা (রাযি.) এ বিধানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন যে, অনেক সময় কোনও ইয়াতীম মেয়ে তার চাচাত ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে থাকত। সে যেমন সুন্দরী হত, তেমনি পিতার রেখে যাওয়া সম্পদেরও একটা মোটা অংশ পেত। এ অবস্থায় তার চাচাত ভাই চাইত, সে বালেগা হলে নিজেই তাকে বিবাহ করবে, যাতে তার সম্পদ হাতছাড়া না হয়ে যায়। কিন্তু বিবাহে তার মত মেয়ের মোহরানা যে পরিমাণ হওয়া উচিত, সে পরিমাণ তাকে দিত না। আবার সেই মেয়ে যদি তেমন রূপসী না হত, তবে তার সম্পদের লোভে তাকে বিবাহ তো করত, কিন্তু তাকে মোহরানা তো কম দিতই, সেই সঙ্গে তার সাথে আচার-আচরণও প্রীতিকর করত না। এ আয়াত এ জাতীয় লোকদেরকে হুকুম দিয়েছে যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি তোমাদের যদি এ ধরনের জুলুম ও অবিচার করার আশংকা থাকে, তবে তাদেরকে বিবাহ করো না; বরং অন্য যে সকল নারীকে আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন তাদের মধ্য হতে কাউকে বিবাহ কর।