আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ২৪

তাফসীর
وَّالۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَاُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا

উচ্চারণ

ওয়াল মুহসানা-তুমিনান নিছাই ইল্লা-মা- মালাকাত আইমা-নুকুম কিতা-বাল্লা-হি ‘আলাইকুম ওয়া উহিল্লা লাকুম মা-ওয়ারাআ যা-লিকুম আন তাবতাগূবিআমওয়ালিকুম মুহসিনীনা গাইরা মুছা-ফিহীনা ফামাছ তামতা‘তুম বিহী মিনহুন্না ফাআ-তূহুন্না উজূরাহুন্না ফারীদাতাওঁ ওয়ালা-জুনা-হা ‘আলাইকুম ফীমা-তারাদাইতুম বিহী মিম বা‘দিল ফারীদাতি ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান হাকীমা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সেই সকল নারীও (তোমাদের জন্য হারাম), যারা অন্য স্বামীদের বিবাহাধীন আছে। তবে যে দাসীরা তোমাদের মালিকানায় এসে গেছে, (তারা ব্যতিক্রম)। ২৩ এটা তোমাদের প্রতি আল্লাহর বিধান। আর এ ছাড়া অন্য নারীদেরকে নিজেদের অর্থ-সম্পদ খরচের মাধ্যমে (অর্থাৎ মাহর দিয়ে নিজেদের বিবাহে আনার) কামনা করাকে বৈধ করা হয়েছে, এই শর্তে যে, তোমরা (বিবাহ দ্বারা) চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার ইচ্ছা করবে, কেবল কাম চরিতার্থকারী হবে না। ২৪ সুতরাং তোমরা (বিবাহ সূত্রে) যে সকল নারী দ্বারা আনন্দ ভোগ করেছ, তাদেরকে ধার্যকৃত মাহর প্রদান কর। অবশ্য (মাহর) ধার্য করার পরও তোমরা পরস্পরে যেই (কম-বেশি করা) সম্পর্কে সম্মত হবে, তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৩. জিহাদের সময় যেসব নারীকে বন্দী করে ইসলামী রাষ্ট্রে নিয়ে আসা হত এবং তাদের স্বামীগণ অমুসলিম রাষ্ট্রে থেকে যেত, তাদের বিবাহ আপনা-আপনি খতম হয়ে যেত। কাজেই ইসলামী রাষ্ট্রে আসার পর যখন এরূপ নারীর এক হায়যের মেয়াদ পূর্ণ হত এবং প্রাক্তন স্বামী দ্বারা সে গর্ভবতী না থাকত, তখন মুসলিম রাষ্ট্রের যে-কোনও মুসলিমের সাথে তার বিবাহ জায়েয হত। মনে রাখতে হবে, এ বিধান কেবল এমন দাসীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যে শরীয়তসম্মতভাবে দাসী সাব্যস্ত হয়েছে। বর্তমানে কোথাও এরূপ দাসীর অস্তিত্ব নেই।
﴾﴿