আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ১৬৩

তাফসীর
اِنَّاۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ کَمَاۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی نُوۡحٍ وَّالنَّبِیّٖنَ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ ۚ  وَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ وَاِسۡمٰعِیۡلَ وَاِسۡحٰقَ وَیَعۡقُوۡبَ وَالۡاَسۡبَاطِ وَعِیۡسٰی وَاَیُّوۡبَ وَیُوۡنُسَ وَہٰرُوۡنَ وَسُلَیۡمٰنَ ۚ  وَاٰتَیۡنَا دَاوٗدَ زَبُوۡرًا ۚ

উচ্চারণ

ইন্নাআওহাইনাইলাইকা কামাআওহাইনা ইলানূহিওঁ ওয়ান নাবিইঈনা মিম বা‘দিহী ওয়াআওহাইনা ইলাইবরা-হীমা ওয়া ইছমা-‘ঈলা ওয়া ইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা ওয়াল আছবা-তিওয়া ‘ঈসা-ওয়া আইয়ূবা ওয়া ইঊনুছা ওয়া হা-রূনা ওয়া ছুলাইমা-না ওয়া আ-তাইনা-দা-ঊদা ঝাবূরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) আমি তোমার প্রতি ওহী নাযিল করেছি, যেভাবে নাযিল করেছি নূহ ও তার পরবর্তী নবীগণের প্রতি এবং আমি ওহী নাযিল করেছিলাম ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব, (তাদের) বংশধরগণ, ঈসা, আইয়ুব, ইউনুস, হারুন ও সুলাইমানের প্রতি। আর দাঊদকে দান করেছিলাম যাবূর। ১১৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১১৪. অর্থাৎ তোমার নবুওয়াত এবং তোমার প্রতি ওহী নাযিল করার বিষয়টি অভিনব কোন ব্যাপার নয়। মানুষকে সৎকর্মের উত্তম পুরস্কার সম্পর্কে সুসংবাদদান ও অসৎকর্মের শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য নবী প্রেরণ ও ওহী নাযিলের ধারা আগে থেকেই চলে এসেছে, যার সমাপ্তি টানা হয়েছে তোমার মাধ্যমে। সুতরাং পূর্বে যেমন প্রত্যেক উম্মতের প্রতি আপন-আপন নবীর প্রতি ঈমান আনা ফরয ছিল, তেমনি সর্বশেষ নবী হিসেবে তোমার প্রতিও ঈমান আনা দুনিয়ার সমস্ত মানুষের উপর ফরয এবং পূর্বে যেমন প্রত্যেক নবীর প্রতি ঈমান আনয়নকারীগণ পুরস্কৃত ও অবিশ্বাসীগণ শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল, যেমনটা তাদের ঘটনাবলীতে আমি তোমার কাছে বিবৃত করেছি, তেমনি তোমার প্রতি ঈমান আনয়নকারীগণও পুরস্কার লাভের যোগ্য ও অবিশ্বাসীগণ শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যাবে। -অনুবাদক
﴾﴿
সূরা আন নিসা, আয়াত ৬৫৬ | মুসলিম বাংলা