وَّقَوۡلِہِمۡ اِنَّا قَتَلۡنَا الۡمَسِیۡحَ عِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ رَسُوۡلَ اللّٰہِ ۚ وَمَا قَتَلُوۡہُ وَمَا صَلَبُوۡہُ وَلٰکِنۡ شُبِّہَ لَہُمۡ ؕ وَاِنَّ الَّذِیۡنَ اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ لَفِیۡ شَکٍّ مِّنۡہُ ؕ مَا لَہُمۡ بِہٖ مِنۡ عِلۡمٍ اِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّ ۚ وَمَا قَتَلُوۡہُ یَقِیۡنًۢا ۙ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১০৯. কুরআন মাজীদ অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করছে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে কেউ হত্যাও করেনি এবং তাকে শূলেও চড়াতে পারেনি; বরং তারা বিভ্রমে পড়ে গিয়েছিল। তারা অপর এক ব্যক্তিকে ঈসা মনে করে তাকেই শূলে ঝুলিয়েছিল। ওদিকে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা উপরে তুলে নিয়েছিলেন। কুরআন মাজীদ সত্যের এই ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেনি। কোনও কোনও বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, যখন ঈসা আলাইহিস সালামকে ঘিরে ফেলা হয়, তখন তাঁর মহান সঙ্গীদের মধ্য থেকে একজন তাঁর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার লক্ষ্যে বাইরে চলে আসেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর আকৃতিকে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মত করে দেন। শত্রুরা তাকেই ঈসা মনে করে নেয় এবং গ্রেফতার করে তাকেই শূলে চড়ায়। অপর দিকে ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা আসমানে উঠিয়ে নেন। অপর এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে গ্রেফতার করার জন্য গুপ্তচর হিসেবে ভিতরে প্রবেশ করেছিল, আল্লাহ তাআলা তাকেই হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের আকৃতিতে রূপান্তরিত করে দেন। সে যখন বাইরে বের হয়ে আসে তখন তার দলের লোকেরা ঈসা মনে করে তাকে শূলে ঝোলায়।