আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ১৩৭

তাফসীর
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ثُمَّ کَفَرُوۡا ثُمَّ اٰمَنُوۡا ثُمَّ کَفَرُوۡا ثُمَّ ازۡدَادُوۡا کُفۡرًا لَّمۡ یَکُنِ اللّٰہُ لِیَغۡفِرَ لَہُمۡ وَلَا لِیَہۡدِیَہُمۡ سَبِیۡلًا ؕ

উচ্চারণ

ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূছু ম্মা কাফারু ছু ম্মা আ-মানূছু ম্মা কাফারু ছু ম্মাঝ দা-দূকুফরাল লাম ইয়াকুনিল্লা-হু লিইয়াগফিরালাহুম ওয়ালা- লিইয়াহদিয়াহুম ছাবীলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যারা ঈমান এনেছে, তারপর কাফির হয়ে গেছে, তারপর ঈমান এনেছে, তারপর আবার কাফির হয়ে গেছে, তারপর কুফরে অগ্রগামী হতে থেকেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করার নন এবং তাদেরকে সঠিক পথে আনয়ন করারও নন। ৯৭

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৯৭. যে মুনাফিকদের সম্পর্কে আলোচনা চলছে এর দ্বারা তাদেরকেও বোঝানো হতে পারে। কেননা তারা মুসলিমদের কাছে এসে নিজেদের ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করত। তারপর নিজেদের মধ্যে গিয়ে কুফরে ফিরে যেত। তারপর আবার কখনও মুসলিমদের সামনে পড়লে পুনরায় ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিত। তারপর আবার নিজেদের লোকদের কাছে গিয়ে তাদেরকে নিজেদের কুফর সম্পর্কে আশ্বস্ত করত এবং নিজেদের কাজ-কর্ম দ্বারা উত্তরোত্তর কুফরের দিকে এগিয়ে যেত। তাছাড়া কোনও কোনও রিওয়ায়াতে এমন কিছু লোকেরও উল্লেখ পাওয়া যায়, যারা ইসলাম গ্রহণের পর মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। তারপর আবার তাওবা করে ইসলামে ফিরে আসে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পুনরায় মুরতাদ হয়ে কুফর অবস্থায়ই মারা যায়। আয়াতের শব্দাবলীর ভেতর উভয় প্রকার লোকদেরই অবকাশ আছে। তাদের সম্পর্কে যে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে সঠিক পথে আনবেন না’, তার অর্থ এই যে, তারা যখন স্বেচ্ছায় কুফর এবং তার পরিণাম হিসেবে জাহান্নামের পথই বেছে নিল, তখন আল্লাহ জবরদস্তিমূলকভাবে তাদেরকে ঈমান ও জান্নাতের পথে ফিরিয়ে আনবেন না। কেননা দুনিয়া হল পরীক্ষার স্থান। এখানে প্রত্যেকে নিজ এখতিয়ার ও ইচ্ছাক্রমে যে পথ অবলম্বন করবে সে অনুযায়ীই তার পরিণাম স্থির হবে। আল্লাহ তাআলা কাউকে যেমন জোর-জবরদস্তি করে মুসলিম বানান না, তেমনি সেভাবে কাউকে কাফিরও বানান না।
﴾﴿