لَا خَیۡرَ فِیۡ کَثِیۡرٍ مِّنۡ نَّجۡوٰىہُمۡ اِلَّا مَنۡ اَمَرَ بِصَدَقَۃٍ اَوۡ مَعۡرُوۡفٍ اَوۡ اِصۡلَاحٍۭ بَیۡنَ النَّاسِ ؕ وَمَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِیۡـہِ اَجۡرًا عَظِیۡمًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৭৯. অর্থাৎ মানুষ গোপনে যেসব কথা বলে তা দ্বারা হয়তো অন্যের নিন্দা করা, কারও ক্ষতি করা বা অন্য কোন দূরভিসন্ধি করা হয়ে থাকে। এ সব গুপ্ত কথায় কারও কোন কল্যাণ নেই। তা সকলের জন্যই ক্ষতিকর। হ্যাঁ, দান-খয়রাতের কথা যদি হয়, তবে তা গোপনেই কল্যাণকর, যাতে দাতার রিয়া না হয় আর গ্রহিতাও লজ্জায় না পড়ে। এমনিভাবে কেউ কোন ভুল-ত্রুটি করলে তাকে গোপনেই সংশোধন করা চাই, যাতে মানুষের সামনে লজ্জা না পায়। দু’জনের মধ্যে আপসরফাও গোপনে করাই ফলপ্রসূ হয়। এসব গোপন কথায় কল্যাণ আছে। এতে আল্লাহ তাআলা খুশী হন এবং এর বিনিময়ে তিনি পুরস্কার দান করেন। এ ছাড়া অন্যসব সত্য-সঠিক কথা সাধারণত প্রকাশ্যেই বলা শ্রেয়। গোপনে বললে তা সন্দেহের জন্ম দেয়। কেননা নির্দোষ কথায় লুকাছাপার প্রয়োজন হয় না। -অনুবাদক