ثُمَّ اَوۡرَثۡنَا الۡکِتٰبَ الَّذِیۡنَ اصۡطَفَیۡنَا مِنۡ عِبَادِنَا ۚ فَمِنۡہُمۡ ظَالِمٌ لِّنَفۡسِہٖ ۚ وَمِنۡہُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ۚ وَمِنۡہُمۡ سَابِقٌۢ بِالۡخَیۡرٰتِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَضۡلُ الۡکَبِیۡرُ ؕ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৯. এর দ্বারা মুসলিমদেরকে বোঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এ কুরআন সরাসরি তো নাযিল হয়েছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। অতঃপর আল্লাহ তাআলা এর ওয়ারিশ বানিয়েছেন মুসলিমগণকে, যাদেরকে তিনি এ কিতাবের প্রতি ঈমান আনার জন্য মনোনীত করেছেন। কিন্তু ঈমান আনার পর এরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দল তো এমন, যারা ঈমান আনার পর তার দাবি অনুযায়ী পুরোপুরি কাজ করেনি। তারা তাদের কোন-কোন দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে এবং বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত হয়েছে। তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা নিজেদের প্রতি জুলুম ও অত্যাচার করেছে। কেননা ঈমানের তো দাবি ছিল তারা প্রথম যাত্রাতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু তারা গুনাহ করে নিজেদেরকে শাস্তির উপযুক্ত বানিয়ে ফেলেছে। ফলে আইন অনুযায়ী তাদেরকে প্রথমে নিজেদের গুনাহের শাস্তি ভোগ করতে হবে। তারপর তারা জান্নাতে যাবে। দ্বিতীয় দল, যাদেরকে মধ্যপন্থী বলা হয়েছে, তারা হল সেই সকল মুসলিম, যারা ফরয ও ওয়াজিবসমূহ নিয়মিত আদায় করে এবং গুনাহ হতেও বেঁচে থাকে, কিন্তু নফল ইবাদত ও মুস্তাহাব আমল তেমন একটা করে না। আর তৃতীয় দল হল সেইসব লোকেরা যারা কেবল ফরয ও ওয়াজিব পালন করেই ক্ষান্ত থাকে না, বরং তারা নফল ইবাদত ও মুস্তাহাব আমলেও অত্যন্ত যত্নবান থাকে। এ তিনও প্রকারের লোক মুসলিমদেরই। তারা সকলেই জান্নাতে যাবে ইনশাআল্লাহ। যারা গুনাহগার নয় তারা তো প্রথমেই, আর যারা গুনাহগার তারা মাগফিরাত লাভের পর।