নিশ্চয়ই সাবা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন। ১১ ডান ও বাম উভয় দিকে ছিল বাগানের সারি। নিজ প্রতিপালকের দেওয়া রিযক খাও এবং তাঁর শোকর আদায় কর। একদিকে তো উৎকৃষ্ট নগর, অন্যদিকে ক্ষমাশীল প্রতিপালক!
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১১. সাবা সম্প্রদায় ইয়ামানে বাস করত। এক কালে সভ্যতা-সংস্কৃতিতে এ জাতি অসাধারণ উৎকর্ষ লাভ করেছিল। কুরআন মাজীদের ভাষ্য মতে তাদের ভূমি ছিল অত্যন্ত উর্বর। প্রচুর ফসল তাতে জন্মাত। তাদের মহা সড়কের দু’পাশে ছিল সারি সারি ফলের বাগান এবং তা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অর্থ-সম্পদে যেমন ছিল সমৃদ্ধ তেমনি রাজনৈতিকভাবেও ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু কালক্রমে তারা ভোগ-বিলাসিতায় এমনভাবে মগ্ন হয়ে পড়ল যে, তারা আল্লাহ তাআলাকে ভুলে গেল, তাঁর বিধি-বিধান পরিত্যাগ করল এবং শিরকী কর্মকাণ্ডকে নিজেদের ধর্ম বানিয়ে নিল। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সতর্ক করার জন্য তাদের কাছে কয়েকজন নবী পাঠালেন। হাফেজ ইবনে কাছীর (রহ.)-এর বর্ণনা মতে তাদের কাছে একের পর এক তেরজন নবীর আগমন হয়েছিল। নবীগণ তাদেরকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এবং তারা যাতে সুপথে চলে আসে সেজন্য মেহনত করতে থাকলেন, কিন্তু তারা তাঁদের কথা মানল না। পরিশেষে তাদের উপর শাস্তি আসল। ‘মাআরিব’ নামক স্থানে একটি বাঁধ ছিল। সেই বাঁধের পানি দিয়ে তাদের জমি চাষাবাদ করা হত। আল্লাহ তাআলা সেই বাঁধটি ভেঙ্গে দিলেন। ফলে গোটা জনপদ পানিতে ভেসে গেল এবং বাগান গেল ধ্বংস হয়ে।