আর রুম

সূরা নং: ৩০, আয়াত নং: ৪

তাফসীর
فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ  لِلّٰہِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَمِنۡۢ بَعۡدُ ؕ  وَیَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ

উচ্চারণ

ফী বিদ‘ই ছিনীনা লিল্লা-হিল আমরু মিন কাবলুওয়া মিম বা‘দু ওয়া ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াফরাহুল মু’মিনূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বছর কয়েকের মধ্যেই। সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহরই, পূর্বেও এবং পরেও। সে দিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১. এ ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে সূরাটির পরিচিতিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, ‘কয়েক বছর’ বোঝানোর জন্য কুরআন মাজীদ بِضْعِ سِنِيْنَ শব্দ ব্যবহার করেছে।بِضْعٌ -এর অর্থ ‘কয়েক’ করা হলেও আরবীতে এ শব্দটি ‘তিন’ থেকে ‘নয়’ পর্যন্ত বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যে কারণে উবাই ইবনে খালফ হযরত আবু বকর (রাযি.)-এর সাথে যে বাজি ধরেছিল, তাতে সে প্রথমে বলেছিল, রোমকগণ যদি তিন বছরের মধ্যে জয়লাভ করতে পারে, তবে সে হযরত আবু বকর (রাযি.)কে দশটি উট দেবে, আর যদি তা না পারে তবে হযরত আবু বকর (রাযি.) তাকে দশটি উট দেবে। হযরত আবু বকর (রাযি.) যখন এ বাজির কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালেন, তিনি বললেন, কুরআন মাজীদে তো بِضْعٌ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যা তিন থেকে নয় বছর পর্যন্তের অবকাশ রাখে। কাজেই তুমি উবাই ইবনে খালফের সাথে দশের স্থলে একশতটি উটের বাজি ধর এবং মেয়াদ তিন বছরের পরিবর্তে নয় বছর করে দাও। হযরত আবু বকর (রাযি.) তাই করলেন। যেহেতু বাহ্য দৃষ্টিতে রোমকদের জয়লাভের দূর-দূরান্তের কোন সম্ভাবনাও ছিল না তাই উবাই ইবনে খালফও তাতে সহজেই রাজি হয়ে গেল। সেমতে বাজির শর্ত দাঁড়াল, যদি রোমকগণ নয় বছরের ভেতর ইরানীদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারে, তবে উবাই ইবনে খালফ হযরত আবু বকর (রাযি.)কে একশতটি উট দেবে আর তা না হলে হযরত আবু বকর (রাযি.) তাকে একশ উট দেবেন। পূর্বে বলা হয়েছে, তখনও পর্যন্ত এরূপ বাজি ধরাকে হারাম করা হয়নি, কিন্তু যখন এ ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ হয়ে যায় তত দিনে এটা হারাম হয়ে গিয়েছিল। কাজেই উবাই ইবনে খালফের পুত্রগণ একশ উট হযরত আবু বকর (রাযি.)কে আদায় করলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে হুকুম দিলেন, উটগুলো সদকা করে দাও।
﴾﴿