আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ৬১

তাফসীর
فَمَنۡ حَآجَّکَ فِیۡہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ فَقُلۡ تَعَالَوۡا نَدۡعُ اَبۡنَآءَنَا وَاَبۡنَآءَکُمۡ وَنِسَآءَنَا وَنِسَآءَکُمۡ وَاَنۡفُسَنَا وَاَنۡفُسَکُمۡ ۟ ثُمَّ نَبۡتَہِلۡ فَنَجۡعَلۡ لَّعۡنَتَ اللّٰہِ عَلَی الۡکٰذِبِیۡنَ

উচ্চারণ

ফামান হাজ্জাকা ফীহি মিম বা‘দি মা-জাআকা মিনাল ‘ইলমি ফাকুল তা‘আ-লাও নাদ‘উ আবনাআনা-ওয়া আব নাআকুম ওয়া নিছাআনা-ওয়া নিছাআকুম ওয়া আনফুছা-নাওয়া আনফুছাকুম ছু ম্মা নাবতাহিল ফানাজ‘আল লা‘নাতাল্লা-হি আলাল কা-যিবীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমার কাছে (হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ঘটনা সম্পর্কে) যে প্রকৃত জ্ঞান এসেছে, তারপরও যারা এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়, (তাদেরকে) বলে দাও, এসো, আমরা ডাকি আমাদের সন্তানদেরকে এবং তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে, আমরা আমাদের নারীদেরকে এবং তোমরা তোমাদের নারীদেরকে, আর আমাদের নিজ লোকদেরকে এবং তোমাদের নিজ লোকদেরকে, তারপর আমরা সকলে মিলে (আল্লাহর সামনে) কাকুতি-মিনতি করি এবং যারা মিথ্যাবাদী, তাদের প্রতি আল্লাহর লানত পাঠাই। ৩৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৪. এ কাজকে ‘মুবাহালা’ বলে। তর্ক-বিতর্কের ক্ষেত্রে কোনও এক পক্ষ যদি দলীল-প্রমাণ না মেনে হঠকারিতা প্রদর্শন করে, তবে সর্বশেষ পন্থা হচ্ছে তাকে মুবাহালার জন্য ডাকা। তাতে উভয় পক্ষ আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করবে যে, আমাদের মধ্যে যারাই মিথ্যা ও বিভ্রান্তির মধ্যে আছে তারাই যেন ধ্বংস হয়ে যায়। যেমন এ সূরার শুরুতে বর্ণিত হয়েছে যে, নাজরানের এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিল। তারা তাঁর সঙ্গে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ঈশ্বরত্ব সম্পর্কে আলোচনা করলে কুরআন মাজীদের পক্ষ হতে তার সন্তোষজনক জবাব দেওয়া হয়, যেমন পূর্বের আয়াতসমূহে বিবৃত হয়েছে। কিন্তু এসব সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে পাওয়া সত্ত্বেও যখন তারা তাদের গোমরাহীতে অটল থাকল, তখন আলোচ্য আয়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুকুম দেওয়া হয়েছে, তিনি যেন তাদেরকে মুবাহালার জন্য ডাকেন। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে মুবাহালার জন্য ডাকলেন এবং নিজেও সেজন্য প্রস্তুত হয়ে আহলে বায়তকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন, কিন্তু খ্রিস্টান প্রতিনিধিরা মুবাহালা করতে সাহস করল না। তারা পশ্চাদপসরণ করল।
﴾﴿