اِنَّ مَثَلَ عِیۡسٰی عِنۡدَ اللّٰہِ کَمَثَلِ اٰدَمَ ؕ خَلَقَہٗ مِنۡ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৩. খৃস্টানদের দাবি ছিল পিতা ছাড়া সন্তান হতে পারে না, কাজেই হযরত ঈসা (আ)-এর যখন কোন মানব-পিতা নেই, তখন আল্লাহ তা‘আলাই তার পিতা এবং তিনি আল্লাহর পুত্র। এ আয়াতে তার জবাব দেওয়া হয়েছে যে, হযরত আদম (আ.)-এর তো পিতা-মাতা কিছুই ছিল না। পিতা-মাতা উভয় ছাড়াই যদি মানুষ হতে পারে, তবে পিতা ছাড়া কেবল ‘মাতা’ দ্বারা হতে পারবে না কেন? পিতা ছাড়া হওয়াতে যদি হযরত ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র বলতে হয়, তবে আদমকে তো আরও বেশি করে আল্লাহর পুত্র বলা উচিত। কিন্তু তাকে তো কেউ তা বলছে না। বরং সকলে তাঁকে আল্লাহর বান্দাই বলছে। সুতরাং কেবল পিতাবিহীন হওয়ায় হযরত ঈসা (আ.)-কেও আল্লাহর পুত্র বলার প্রশ্ন আসে না। তিনিও আল্লাহ তা‘আলার এক বান্দা মাত্র।