আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ৫৫

তাফসীর
اِذۡ قَالَ اللّٰہُ یٰعِیۡسٰۤی اِنِّیۡ مُتَوَفِّیۡکَ وَرَافِعُکَ اِلَیَّ وَمُطَہِّرُکَ مِنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَجَاعِلُ الَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡکَ فَوۡقَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ۚ ثُمَّ اِلَیَّ مَرۡجِعُکُمۡ فَاَحۡکُمُ بَیۡنَکُمۡ فِیۡمَا کُنۡتُمۡ فِیۡہِ تَخۡتَلِفُوۡنَ

উচ্চারণ

ইযকা-লাল্লা-হু ইয়া-‘ঈছা-ইন্নী মুতাওয়াফফীকা ওয়ারা-ফি‘উকা ইলাইইয়া ওয়ামুতাহহিরুকা মিনাল্লাযীনা কাফারু ওয়া জা-‘ইলুল্লায ীনাত্তাবা‘ঊকা ফাওকাল্লাযীনা কাফারূ ইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি ছু ম্মা ইলাইইয়া মারজি‘উকুম ফাআহকুমু বাইনাকুম ফীমা-কুনতুম ফীহি তাখতালিফূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(তাঁর কৌশল সেই সময় প্রকাশ পেল) যখন আল্লাহ বলেছিলেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে (সহি-সালামতে) ফেরত নিয়ে নেব, ৩১ তোমাকে নিজের কাছে তুলে নেব এবং যারা কুফরী অবলম্বন করেছে তাদের (উৎপীড়ন) থেকে তোমাকে মুক্ত করব, আর যারা তোমার অনুসরণ করেছে তাদেরকে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সেই সকল লোকের উপর প্রবল রাখব, যারা (তোমাকে) অস্বীকার করেছে। ৩২ তারপর তোমাদের সকলকে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদের মধ্যে সেই বিষয়ে মীমাংসা করব, যা নিয়ে তোমরা বিরোধ করতে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩১. শত্রুগণ হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে শূলে চড়ানোর ষড়যন্ত্র এঁটেছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁকে আসমানে তুলে নেন এবং যারা তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছিল তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে তাঁর সদৃশ বানিয়ে দেন। শত্রুগণ হযরত ঈসা মনে করে তাকেই শূলে চড়ায়। আয়াতের যে তরজমা করা হয়েছে তার ভিত্তি متوفيك.-এর আভিধানিক অর্থের উপর। মুফাসসিরদের একটি বড় দল এস্থলে এ অর্থই গ্রহণ করেছেন। শব্দটির আরও একটি ব্যাখ্যা করা সম্ভব, যা হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকেও বর্ণিত আছে। তার জন্য দেখুন মাআরিফুল কুরআন ২য় খণ্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা।
﴾﴿