আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ৩৭

তাফসীর
فَتَقَبَّلَہَا رَبُّہَا بِقَبُوۡلٍ حَسَنٍ وَّاَنۡۢبَتَہَا نَبَاتًا حَسَنًا ۙ وَّکَفَّلَہَا زَکَرِیَّا ۚؕ کُلَّمَا دَخَلَ عَلَیۡہَا زَکَرِیَّا الۡمِحۡرَابَ ۙ وَجَدَ عِنۡدَہَا رِزۡقًا ۚ قَالَ یٰمَرۡیَمُ اَنّٰی لَکِ ہٰذَا ؕ قَالَتۡ ہُوَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ

উচ্চারণ

ফাতাকাব্বালাহা-রাব্বুহা-বিকাবূলিন হাছানিওঁ ওয়া আম্বাতাহা-নাবাতান হাছানাওঁ ওয়াকাফফালাহা-ঝাকারিইইয়া-কুল্লামা-দাখালা ‘আলাইহা-ঝাকারিইইয়াল মিহরা-বা ওয়াজাদা ‘ইনদাহা-রিঝকান কা-লা ইয়া-মারইয়ামুআন্না-লাকি হা-যা-কা লাত হুওয়া মিন ‘ইনদিল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ইয়ারঝুকুমাইঁ ইয়াশাউ বিগাইরি হিছা-ব।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং তার প্রতিপালক তাকে (মারয়ামকে) উত্তমভাবে কবুল করলেন এবং তাকে উৎকৃষ্ট পন্থায় প্রতিপালন করলেন। আর যাকারিয়া তার তত্ত্বাবধায়ক হল। ১৭ যখনই যাকারিয়া তার কাছে তার ইবাদতখানায় যেত, তার কাছে কোন রিযক পেত। সে জিজ্ঞেস করল, মারয়াম! তোমার কাছে এসব জিনিস কোথা থেকে আসে? সে বলল, এটা আল্লাহর নিকট থেকে। আল্লাহ যাকে চান অপরিমিত রিযক দান করেন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৭. হযরত ইমরান ছিলেন বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল হান্না। তাঁর কোন ছেলে-মেয়ে ছিল না। তাই তিনি মানত করেছিলেন, তাঁর কোন সন্তান হলে তাকে বায়তুল মুকাদ্দাসের খেদমত করার জন্য উৎসর্গ করবেন। অতঃপর হযরত মারয়ামের জন্ম হল, কিন্তু তাঁর জন্মের আগেই তাঁর পিতার ইন্তিকাল হয়ে যায়। হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন হান্নার ভগ্নিপতি এবং মারয়ামের খালু। হযরত মারয়ামের তত্ত্বাবধান করার অধিকার কে পাবে তার মীমাংসার্থে যখন লটারি করা হয়, তখন সে লটারিতে হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালামের নাম উঠল। এ সূরাতেই সামনে ৪৪নং আয়াতে এ বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।
﴾﴿