আ-লু ইমরান

সূরা নং: ৩, আয়াত নং: ২৬

তাফসীর
قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَتَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَتُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ

উচ্চারণ

কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বল, হে আল্লাহ! সার্বভৌম শক্তির মালিক! তুমি যাকে চাও ক্ষমতা দান কর, আর যার থেকে চাও ক্ষমতা কেড়ে নাও। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর এবং যাকে চাও লাঞ্ছিত কর। সমস্ত কল্যাণ তোমারই হাতে। নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৮. খন্দকের যুদ্ধকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, রোম ও ইরান সাম্রাজ্য মুসলিমদের করতলগত হবে। কাফিরগণ এটা শুনে ঠাট্টা করতে লাগল যে, নিজেদের রক্ষা করার জন্য যাদের গর্ত (পরিখা) খুড়তে হচ্ছে এবং না খেয়ে যারা দিন কাটাচ্ছে তারা কিনা দাবী করছে, রোম ও ইরান জয় করে ফেলবে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। এতে মুসলিমদেরকে এ দু‘আ শিক্ষাদানের মাধ্যমে এক সূক্ষ্ম পন্থায় তাদের ঠাট্টার জবাব দেওয়া হয়েছে।
﴾﴿