আল আনকাবুত

সূরা নং: ২৯, আয়াত নং: ৪৬

তাফসীর
وَلَا تُجَادِلُوۡۤا اَہۡلَ الۡکِتٰبِ اِلَّا بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ ٭ۖ اِلَّا الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡہُمۡ وَقُوۡلُوۡۤا اٰمَنَّا بِالَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡنَا وَاُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ وَاِلٰـہُنَا وَاِلٰـہُکُمۡ وَاحِدٌ وَّنَحۡنُ لَہٗ مُسۡلِمُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়ালা-তুজা-দিলূআহলাল কিতা-বি ইল্লা-বিল্লাতী হিয়া আহছানু ইল্লাল্লাযীনা জালামূমিনহুম ওয়া কূলূআ-মান্না-বিল্লাযী উনঝিলা ইলাইনা-ওয়া উনঝিলা ইলাইকুম ওয়া ইলা-হুনা-ওয়া ইলা-হুকুম ওয়া-হিদুওঁ ওয়া নাহনুলাহূমুছলিমূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে মুসলিমগণ!) কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না উত্তম পন্থা ছাড়া। তবে তাদের মধ্যে যারা সীমালঙ্ঘন করে, তাদের কথা স্বতন্ত্র ৩৪ এবং (তাদেরকে) বল, আমরা ঈমান এনেছি সেই কিতাবের প্রতি যা আমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে এবং যে কিতাব তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে তার প্রতিও। আমাদের মাবুদ ও তোমাদের মাবুদ একই। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৪. এমনিতে তো ইসলামী দাওয়াতের ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, সর্বত্রই তা মার্জিত ও ভদ্রোচিতভাবে পেশ করা চাই। কিন্তু এ আয়াতে বিশেষভাবে আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে দাওয়াত দেওয়ার সময় এদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তাকীদ করা হয়েছে। কেননা তারা যেহেতু আসমানী কিতাবে বিশ্বাস রাখে, তাই পৌত্তলিকদের তুলনায় তারা মুসলিমদের বেশি নিকটবর্তী। অবশ্য তাদের পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি করা হলে তখন তুরুক জবাব দেওয়ারও অনুমতি রয়েছে।
সূরা আল আনকাবুত, আয়াত ৩৩৮৬ | মুসলিম বাংলা