اُتۡلُ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ وَاَقِمِ الصَّلٰوۃَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَالۡمُنۡکَرِ ؕ وَلَذِکۡرُ اللّٰہِ اَکۡبَرُ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُوۡنَ 
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩২. অর্থাৎ, মানুষ যদি যথাযথভাবে নামায আদায় করে এবং তার উদ্দেশ্যের প্রতি মনোযোগী থাকে, তবে তা অবশ্যই তাকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। কেননা মানুষ নামাযে সর্বপ্রথম তাকবীর বলে আল্লাহ তাআলার মহত্ব ও বড়ত্ব ঘোষণা করে। তার মানে সে আল্লাহ  তাআলার হুকুমকে সবকিছুর উপরে বলে বিশ্বাস করে। এর বিপরীতে কারও কোন কথাকে সে ভ্রুক্ষেপযোগ্য মনে করে না। তারপর সে প্রতি রাকাতে আল্লাহ তাআলার সামনে স্বীকার করে যে, হে আল্লাহ! আমি আপনারই বন্দেগী করি এবং আপনারই কাছে সাহায্য চাই, এভাবে সে জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার অনুগত হয়ে চলার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হয়। কাজেই যে ব্যক্তি পূর্ণ ধ্যানের সাথে নামায পড়ে তার অন্তরে কোন গুনাহের প্রতি ঝোঁক দেখা দিলে তখন অবশ্যই তার সেই ওয়াদার কথা মনে পড়বে, ফলে সে সচকিত হয়ে যাবে এবং সে আর গুনাহের দিকে অগ্রসর হবে না। তাছাড়া রুকু, সিজদা, ওঠা-বসা ও নামাযের অন্যান্য কার্যাবলী দ্বারা ইবাদত করে নামাযী ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহ তাআলার সামনে একজন বাধ্য ও অনুগত বান্দারূপে পেশ করে। সুতরাং যে ব্যক্তি অনুধ্যানের সাথে নামায পড়বে এবং নামাযের হাকীকতের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে যথাযথভাবে তা আদায় করবে তার নামায তাকে অবশ্যই অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে।