وَقَالَ اِنَّمَا اتَّخَذۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَوۡثَانًا ۙ مَّوَدَّۃَ بَیۡنِکُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ ثُمَّ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یَکۡفُرُ بَعۡضُکُمۡ بِبَعۡضٍ وَّیَلۡعَنُ بَعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ۫ وَّمَاۡوٰىکُمُ النَّارُ وَمَا لَکُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ٭ۙ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৪. এর দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে (এক) যারা মূর্তিপূজা করে, তারা সে মূর্তিপূজার ভিত্তিতেই নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠা ও তা রক্ষা করছে। (দুই) দ্বিতীয় এই ব্যাখ্যা হতে পারে যে, তোমরা যে মূর্তিপূজা অবলম্বন করেছ, তা আসলে বুঝেশুনে করনি; বরং অন্যের দেখাদেখি করেছ। নিজ ভাই বা বন্ধুদের দেখেছ মূর্তিপূজা করছে, ব্যস তোমরা তা গ্রহণ করে নিয়েছ। এর উদ্দেশ্য কেবল তাদের সাথে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠিত রাখা। এর দ্বারা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যেখানে হক ও বাতিলের প্রশ্ন, সেখানে কেবল আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের খাতিরে কোন পথ অবলম্বন করা উচিত নয়; বরং এসব পিছুটান থেকে মুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ চিন্তা-ভাবনা করে, বুঝে-শুনে সত্য-সঠিক পথকেই বেছে নেওয়া উচিত।