আমি পূর্ব থেকেই ধাত্রীদুগ্ধ গ্রহণে তার প্রতি নিরোধ আরোপ করে দিয়েছিলাম। শেষে মূসার বোন বলল, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক পরিবারের সন্ধান দেব, যারা তোমাদের পক্ষ হতে এ শিশুর লালন-পালন করবে এবং তারা হবে তার কল্যাণকামী? ৫
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫. ফির‘আওনের স্ত্রী শিশুটিকে লালন-পালন করার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে দুধ পান করানোর জন্য একজন ধাত্রীর দরকার হল, সুতরাং ধাত্রী খোঁজা শুরু হল। কিন্তু হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কোন ধাত্রীর দুধই মুখে নিচ্ছিলেন না। হযরত আছিয়া (আ.) একজন উপযুক্ত ধাত্রী খুঁজে আনার জন্য তাঁর দাসীদেরকে চারদিকে পাঠিয়ে দিলেন। ওদিকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে নদীতে ফেলে দেওয়ার পর তাঁর মা অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখার জন্য হযরত মূসা আলাইহিস সালামের বোনকে পাঠিয়ে দিলেন। বোন খুঁজতে খুঁজতে এক জায়গায় এসে দেখে রাণীর দাসীগণ বড় পেরেশান। তারা উপযুক্ত ধাত্রী খুঁজে পাচ্ছে না। সে এটাকে এক অপ্রত্যাশিত সুযোগ মনে করল। প্রস্তাব দিল এ দায়িত্ব তার মাকে দেওয়া যেতে পারে। তাড়াতাড়ি গিয়ে তাকে নিয়েও আসল। তিনি যখন শিশুটিকে বুকে নিয়ে দুধ খাওয়াতে শুরু করলেন, শিশু মহানন্দে খেতে লাগল। এভাবে আল্লাহ তাআলার ওয়াদা মত শিশু তার মায়ের কোলে ফিরে আসল।