এদিকে মূসার মায়ের মন ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল। সে তো রহস্য ফাঁস করেই দিচ্ছিল যদি না আমি তার অন্তরকে সংযত রাখতাম (আমার ওয়াদার প্রতি) দৃঢ় বিশ্বাসী থাকার জন্য। ৪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪. অর্থাৎ, শিশু মূসার মা যখন জানতে পারলেন তাঁর কলিজার টুকরা শত্রুরই হাতে গিয়ে পড়েছে তখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কি কিয়ামত তার উপর দিয়ে যাচ্ছিল তা তার মতো কোন ভুক্তভোগী মায়ের পক্ষেই অনুমান করা সম্ভব। তখন হিতাহিত-জ্ঞানশূন্য হয়ে তিনি প্রায় বলেই ফেলছিলেন যে, ‘এটি আমার বাচ্চা! কিংবা হায় ‘আমার যাদুধন’ বলে চীৎকার দিয়েই ফেলছিলেন যদি না আল্লাহ তাআলা তাকে আটকে রাখতেন। আল্লাহ তাআলার তো নিজ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার ছিল। তিনি শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার ও তাকে নবী বানানোর ওয়াদাও করেছিলেন। সে ওয়াদায় যাতে মায়ের ঈমান পাকাপোক্ত থাকে তাই তিনি তার অন্তরে সবর ও সংযম ঢেলে দিচ্ছিলেন, যদ্দরুণ রহস্য ফাঁস করতে গিয়েও নিজেকে সামাল দিয়ে ফেলেন। -অনুবাদক